শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তরমুজ পিচে কিনে কেজিতে বিক্রি

তরমুজ পিচে কিনে কেজিতে বিক্রি
  • প্রতারিত ক্রেতা

সুস্বাদু, মিষ্টি রসালো ও লোভনীয় মৌসুমী ফল তরমুজ ক্ষেত ও আড়ৎ থেকে পিচ হিসেবে কেনা হলেও দিনাজপুর শহরসহ বিভিন্ন উপজেলার হাটবাজারগলোতে বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে। এতে ক্রেতাসাধারণ প্রতিনিয়ত তরমুজ কিনতে গিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন। যেনো দেখার কেই নেই। একটি তরমুজ ক্ষেত থেকে বাজারে আসতেই তিনগুন দাম বেড়ে যাচ্ছে।

দিনাজপুর পৌর শহরের বাহাদুর বাজার, পৌরসভা রোড, চকবাজার, বড়মাঠসহ জেলার কয়েকটি হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিবারের মতো চলতি মৌসুমে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। শুধু বিভিন্ন বাজারেই নয়, পাড়া-মহল্লায় রিকশাভ্যান গাড়িতে ফেরি করেও কেজি দরেই বিক্রি হচ্ছে মৌসুমী রসালো ফল তরমুজ।

দিনাজপুর বাহাদুর বাজারে একটি দোকানে তরমুজ কিনতে আসা ক্রেতা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছামাদ শাহ বলেন, দিনাজপুর-রংপুর অঞ্চলসহ দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপকহারে তরমুজ উৎপাদন হলেও দাম আকাশচুম্বী। যা সাধারণ মানুষের কেনা দায় হয়ে পড়েছে। ক্ষেত ও আড়ত থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা পিচ দরে তরমুজ কিনলেও স্থানীয় বাজারে নিজ খেয়াল খুশি মতো কেজি দরে বিক্রি করে অধিক মুনাফা লুটছেন। এ বিষয়ে দেখার যেন কেউ নেই। তবে বিষয়টা উপজেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নজর দেওয়া প্রয়োজন।

খানসামা আড়তে উৎপাদিত তরমুজ বিক্রি করতে আসা একাধিক তরমুজ চাষি জানান, চলতি মৌসুমে চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি তরমুজ উৎপাদিত হলেও খুচরা বিক্রেতারা সিন্ডিকেট করে বাজারে বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে।

এরপর অস্থির করে তোলা হচ্ছে মৌসুমি এ ফলের বাজার। ফলে কম আয়ের ক্রেতারা তরমুজ ভোগ করতে পারেন না। ছয় থেকে সাত কেজি ওজনের একটি তরমুজ পাইকারি দামে সর্বোচ্ছ ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায় কেনা-বেচা হয়। অথচ খুচরা বিক্রেতারা সেটি যখন ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন তখন তরমুজটির দাম হয় ৩১৫ থেকে ৩৫০ টাকা। যা ক্রেতার পকেট কাটা হয়। আবার দশ কেজি একটি তরমুজ বিক্রি করা হচ্ছে ৪৫০ টাকায়।

আরও পড়ুনঃ  সরকারকে চাল দেবে মিলাররা

ক্রেতাদের এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলেও ফুলবাড়ি পৌর শহরের তরমুজ বিক্রেতা শরিফুল বলেন,  আড়তে থেকে মণ দরে কিনতে হচ্ছে। আবার পিচ হিসেবেও কিনতে হচ্ছে। তবে এখানে আকার ভেদে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করা হচ্ছে।

ফুলবাড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিনাজপুর জেলার সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম বলেন, সরকারিভাবে তরমুজের মূল্য নির্ধারণ না থাকায় এমনটি হচ্ছে। তবে আড়তে কেনার রসিদ দেখে মূল্য নির্ধারণ করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন