শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হিলিতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৩০ টাকা কমেছে

দিনাজপুরের হিলিতে প্রায় প্রতিদিনই পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করে। কখনও দাম বাড়ছে আবার কখনও কমছে। সে ধারাবাহিকতায় আজ (৮ ডিসেম্বর) পাইকারিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৩০ টাকা কমেছে। আমদানি বৃদ্ধি এবং সীমান্ত দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে আসা পেঁয়াজের পরিমাণ বাড়ায় দাম কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি ও খুচরা বাজার পরিদশর্ন করে জানা যায়, একদিন আগেও প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ২১০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু আজ (৮ ডিসেম্বর) দাম কমে প্রতি কেজি ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে খুচরা বাজারে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ তা কমে ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চীন থেকে আমদানীকৃত পেঁয়াজ পাইকারিতে ১০০ ও খুচরাতে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ভারত থেকে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়ার পর হিলির আশপাশের সীমান্ত দিয়ে চোরাইপথে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য পরিমাণে পেঁয়াজ আসছে। এসব পেঁয়াজের সরবরাহের ওপর নির্ভর করে প্রতিদিনই দাম ওঠানামা করছে।

এদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় মসলাজাতীয় পণ্যটির দাম লাগামহীনভাবে বৃদ্ধির ফলে ক্ষোভ দেখিয়েছেন ক্রেতারা। হিলি বাজারে জাহাঙ্গীর আলম ও আব্দুল মতিন নামের দুজন ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দাম কমার কোন নাম গন্ধ নেই শুধু বাড়ছেই। সকালে একদামে বিক্রি হলেও বিকালে আবার অন্য দামে হচ্ছে। যেন পেঁয়াজের বাজারে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তিন-চারদিন আগে যে পেঁয়াজ ১৬০-১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সে পেঁয়াজ গতকাল এক লাফে ২২০ টাকায় উঠে গেল। এভাবে পেঁয়াজের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষ কীভাবে পেঁয়াজ কিনে খাবে?

আরও পড়ুনঃ  চালের দাম নির্ধারণ করে দিল সরকার

হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা তাহের খান জানান, বাজারে দেশীয় পুরনো পেঁয়াজের কোনো সরবরাহ নেই। যার কারণে চাপ বেড়েছে আমদানীকৃত বার্মা, চায়নাসহ অন্যান্য পেঁয়াজের ওপর। হিলিতে পেঁয়াজের বাজার পুরোপুরি নির্ভর করে হিলিসহ আশপাশের সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে অবৈধপথে আসা কিছু পেঁয়াজের ওপর। একদিন আগে সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা কমে যাওয়ার ফলে সরবরাহ সংকটে দাম বাড়ে। কিন্তু আজ আবারো সীমান্ত দিয়ে পেঁয়াজ আসার পরিমাণ বাড়ার কারণে বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধিতে দাম কমতে শুরু করেছে। পাশাপাশি অনেকেই বাজারে উঠা নতুন পাতা পেঁয়াজ কেনার কারণেও অন্যান্য পেঁয়াজের ওপর চাপ কমছে। ফলে দাম কিছুটা কমতির দিকে রয়েছে।

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন