শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৃষ্টিতে ‘জ্বললো’ পেঁয়াজের বাজার

বৃষ্টিতে ‘জ্বললো’ পেঁয়াজের বাজার
  • ঢাকায় বাড়লো কেজিতে ২৫ টাকা, হিলিতে ১২
  • বাণিজ্যমন্ত্রীর হুশিয়ারি কাজে আসছে না
  • পেঁয়াজ আমদানিকে ‘না’ বলছেন চাষিরা

নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মধ্যে পেঁয়াজ অন্যতম। মসলা হিসেবে এ পণ্য ব্যবহৃত হয় প্রায় সব তরকারিতে। তাই সবসময়ই এর চাহিদা বেশি থাকে। তবে হঠাৎ করে দাম বেড়ে যাওয়া বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। দিনাজপুরের হিলিবাজারে তিনদিনের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ১২ টাকা। তবে ঢাকার বাজারে এক লাফে বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। পেঁয়াজের দামবৃদ্ধিতে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষের দাবি নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের।

গতকাল শুক্রবার দুপুরে হিলিবাজার ঘুরে দেখা যায় দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। তিনদিন আগে যার মূল্য ছিলো ৩০ টাকা। ঢাকার কাওরান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে যার কেজি ছিল ৩০-৩৫ টাকা। ব্যবসায়ীদের দাবি, বৃষ্টির কারণে ক্ষতি হওয়ায় বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কম। যে কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।

একের পর এক দাম বৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস উঠেছে ভোক্তাদের। যেভাবে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ছে এতে অসহায় হয়ে পড়েছেন নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা। তাদের অভিযোগ কোনো কারণ ছাড়াই দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট কোনো দপ্তর কিংবা সংস্থা কাজ করছে না। দাম না বাড়ানোর বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীরে হুশিয়ারি কোনো কাজে আসছে না। তারা বলছেন, এসির নিচে বসে হুশিয়ারি দিয়ে লাভ কি যদি বাজার মনিটরিং না করে?

কারওয়ান বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা ফরহাদ হোসেন বলেন, সপ্তাহখানেক আগের ৩০ টাকায় কেনা পেঁয়াজের দাম এখন ৫০ টাকা। শুধু পেঁয়াজ না সবকিছুরেই দাম বাড়ছে। এতে করে বিপাকে পড়তে হচ্ছে আমাদের মতো স্বল্পআয়ের মানুষেরা। আমাদের কষ্ট দেখার মতো কেউ নেই। বাজারে জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে কেউ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। সবাই বক্তব্য দিয়েই দায় সারছেন। এদিকে হিলিবাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা শরিফুল ইসলাম বলেন, তিনদিনের ব্যবধানে এখানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০-১২ টাকা। আগে যে পেঁয়াজ ৩০ টাকায় কিনতে পারতাম এখন তার কেজি ৪০ টাকা।

আরও পড়ুনঃ  স্বদেশের টানে রোহিঙ্গারা

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘ভারত ও মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। এবার পেঁয়াজের ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু কৃষকরা বলছেন, তারা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। প্রতিকেজি পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ পড়ে ১৪ টাকা, আর বিক্রি করছে ১৬ থেকে ১৮ টাকা। সে কারণে বিদেশ থেকে আপাতত পেঁয়াজ আমদানি করতে নিষেধ করেছেন কৃষকরা।

টিপু মুনশি বলেন, ‘পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করছি। কিছু অসৎ ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার আশায় দাম বাড়িয়ে দেয়। এজন্য জেলায় জেলায় দাম মনিটরিংয়ের জন্য ডিসিদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা অসৎ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন।’

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন