শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শতভাগ বিল আদায়ে চারগুণ রাজস্ব

রাজধানীর পানি সরবরাহকারী সংস্থা ঢাকা ওয়াসার রাজস্ব আয় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রাহকদের সহযোগিতায় শতভাগ বিল আদায় হচ্ছে। কোথাও কোনো বিল বকেয়া না থাকায় আয় বেড়েছে। ২০০৯ সালের রাজস্ব আয় ৪৪০ কোটি টাকা থেকে চার গুণ বেড়ে ২০২১ সালে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮০০ কোটিতে। রাজস্ব বিল জারির ক্ষেত্রেও শতভাগ অটোমেশন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় কারওয়ান বাজারে ওয়াসা ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান। ঢাকা ওয়াসা আজ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে একটি রোল মডেল হিসেবে দাবি করে তাসকিম এ খান সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকায় দৈনিক পানির চাহিদা ২৬০ থেকে ২৭০ কোটি লিটার। যার পুরোটাই আমরা সরবরাহ করছি। তবে আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে ২৭০ থেকে ২৭৫ কোটি লিটার। যেখানে ২০০৯ সালে পানি সরবরাহ করা হতো ১৮৮ কোটি লিটার। সে সময় গভীর নলকূপের সংখ্যা ছিলো ৫১৯টি। বর্তমানে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০৬টি। পানি শোধনাগার রয়েছে ৫টি। ওয়াসার মোট উৎপাদিত পানির ৩৩ ভাগ সংগ্রহ করা হয় ভূ-উপরিস্থ উৎস থেকে। বাকি ৬৭ ভাগ আসে ভূ-গর্ভস্থ অর্থাৎ গভীর নলকূপ থেকে। তবে ২০২৩ সালের মধ্যে ভূ-উপরিস্থ উৎস থেকে ৩০ ভাগের পরিবর্তে সংগ্রহ করা হবে ৭০ ভাগ। আর ভূ-গর্ভস্থ থেকে ৬৭ ভাগ থেকে কমিয়ে আনা হবে ৩০ ভাগে। ঢাকা ওয়াসার মূল লক্ষ্য পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও গণমুখী পানি ব্যবস্থাপনা জানিয়ে ওয়াসার এমডি বলেন, ২০১০ সালে ‘ঘুরে দাঁড়াও ঢাকা ওয়াসা’ কর্মসূচির আওতায় নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করে ওয়াসা। এলাকাভিত্তিক পানি সরবরাহ ব্যবস্থার আধুনিক পদ্ধতি ডিস্ট্রিক মিটার্ড এরিয়ার (ডিএমএ) মাধ্যমে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ পদ্ধতিতে কোনো এলাকায় পানি স্বল্পতা দেখা দিলে পার্শ্ববর্তী ডিএমএ থেকে সয়ংক্রিয়ভাবে পানি চলে আসবে। আবার বেশি পানি থাকলে তা অন্য ডিএমএতে অটোমেটিক চলে যাবে। আগে ৪০ শতাংশ সিস্টেম লসের পরিবর্তে বর্তমানে ডিএমএতে সিস্টেম লস হয় মাত্র ৫ শতাংশ। যা সার্বিকভাবে ২০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। ২০১০ সালের শূন্য দশমিক ৯০ থেকে পরিচালন ব্যয় ২৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৬৬তে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বর্তমানে ঢাকা শহরে এ ধরনের ডিএমএ রয়েছে ৭১টি। চলমান থাকা আরো ৭৪টির কাজ শেষ হবে ২০২৩ সালের মধ্যে। ১৫৬টি পানির পাম্পে আধুনিকায়নের জন্য এসসিএডিএ স্থাপন করা হয়েছে। এতে পাম্পগুলো সার্বক্ষণিক কন্ট্রোলরুমে বসে মনিটরিং ও পরিচালনা করার সুবিধা হয়েছে। নগরীর যানজট পরিস্থিতি বিবেচনা করে পাম্প ব্রেকডাউন হলে সর্বোচ্চ ১২ ঘণ্টার মধ্যে চালু করতে আরো তিনটি সাব অফিস চালু করা হয়েছে। এছাড়া ওয়াটার কোয়ালিটি মেইনটেইন এন্ড মনিটরিংয়ের জন্য খোলা হয়েছে আরো দুটি সাব অফিস। শোধনাগারগুলির পানি সরবরাহ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে। গ্রাহকদের সমস্যা সমাধানের হটলাইন চালু করা হয়েছে। যার নাম্বার ১৬১৬২। এক প্রশ্নের জবাবে তাকসিম এ খান বলেন, রাজউক আইনে আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনে পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিধান রয়েছে। কিন্তু ঢাকার মাত্র ২০ শতাংশ ভবনে রয়েছে এই ব্যবস্থা। বাকি ৮০ ভাগ আবাসিক-বাণিজ্যিক ভবনে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা নেই। ভবনগুলো সিটি করপোরেশনের নালায় সরাসরি সংযোগ দেওয়া। এই অব্যবস্থাপনা দূর করতে রাজধানীর দাসেরকান্দি, উত্তরা, রায়েরবাজার, মিরপুর ও নারায়ণগঞ্জের পাগলায় পৃথক পাঁচটি প্লান্ট স্থাপনের কাজ করা হচ্ছে। এর মধ্যে দাসেরকান্দির কাজ শেষ পর্যায়ে। ২০২৩ সালের মধ্যে এগুলো বাস্তবায়ন হলে খাল-নদী দূষণমুক্ত হবে। ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্প, ফেজ-৩ এর প্রস্তুতিমূলক কাজ এগিয়ে চলছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দৈনিক ৪৫ কোটি লিটার পানি শোধন করে নগরীতে সরবরাহ করা হবে। এডিবি, এএফডি, ইআইবি এবং কেএফ ডব্লিউ’র আর্থিক সহায়তায় মেঘনা নদী থেকে পানি এনে শোধনের জন্য ‘গন্ধবপুর পানি শোধনাগার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। যার মাধ্যমে নগরীতে দৈনিক ৫০ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা হবে।

রাজধানীর পানি সরবরাহকারী সংস্থা ঢাকা ওয়াসার রাজস্ব আয় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রাহকদের সহযোগিতায় শতভাগ বিল আদায় হচ্ছে। কোথাও কোনো বিল বকেয়া না থাকায় আয় বেড়েছে। ২০০৯ সালের রাজস্ব আয় ৪৪০ কোটি টাকা থেকে চার গুণ বেড়ে ২০২১ সালে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮০০ কোটিতে। রাজস্ব বিল জারির ক্ষেত্রেও শতভাগ অটোমেশন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় কারওয়ান বাজারে ওয়াসা ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান।

ঢাকা ওয়াসা আজ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে একটি রোল মডেল হিসেবে দাবি করে তাসকিম এ খান সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকায় দৈনিক পানির চাহিদা ২৬০ থেকে ২৭০ কোটি লিটার। যার পুরোটাই আমরা সরবরাহ করছি। তবে আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে ২৭০ থেকে ২৭৫ কোটি লিটার। যেখানে ২০০৯ সালে পানি সরবরাহ করা হতো ১৮৮ কোটি লিটার। সে সময় গভীর নলকূপের সংখ্যা ছিলো ৫১৯টি। বর্তমানে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০৬টি। পানি শোধনাগার রয়েছে ৫টি। ওয়াসার মোট উৎপাদিত পানির ৩৩ ভাগ সংগ্রহ করা হয় ভূ-উপরিস্থ উৎস থেকে। বাকি ৬৭ ভাগ আসে ভূ-গর্ভস্থ অর্থাৎ গভীর নলকূপ থেকে। তবে ২০২৩ সালের মধ্যে ভূ-উপরিস্থ উৎস থেকে ৩০ ভাগের পরিবর্তে সংগ্রহ করা হবে ৭০ ভাগ। আর ভূ-গর্ভস্থ থেকে ৬৭ ভাগ থেকে কমিয়ে আনা হবে ৩০ ভাগে।

ঢাকা ওয়াসার মূল লক্ষ্য পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও গণমুখী পানি ব্যবস্থাপনা জানিয়ে ওয়াসার এমডি বলেন, ২০১০ সালে ‘ঘুরে দাঁড়াও ঢাকা ওয়াসা’ কর্মসূচির আওতায় নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করে ওয়াসা। এলাকাভিত্তিক পানি সরবরাহ ব্যবস্থার আধুনিক পদ্ধতি ডিস্ট্রিক মিটার্ড এরিয়ার (ডিএমএ) মাধ্যমে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ পদ্ধতিতে কোনো এলাকায় পানি স্বল্পতা দেখা দিলে পার্শ্ববর্তী ডিএমএ থেকে সয়ংক্রিয়ভাবে পানি চলে আসবে। আবার বেশি পানি থাকলে তা অন্য ডিএমএতে অটোমেটিক চলে যাবে। আগে ৪০ শতাংশ সিস্টেম লসের পরিবর্তে বর্তমানে ডিএমএতে সিস্টেম লস হয় মাত্র ৫ শতাংশ। যা সার্বিকভাবে ২০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। ২০১০ সালের শূন্য দশমিক ৯০ থেকে পরিচালন ব্যয় ২৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৬৬তে।

আরও পড়ুনঃ  রাজস্ব ঘাটতি ছাড়িয়েছে ৩১ হাজার কোটি টাকা

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বর্তমানে ঢাকা শহরে এ ধরনের ডিএমএ রয়েছে ৭১টি। চলমান থাকা আরো ৭৪টির কাজ শেষ হবে ২০২৩ সালের মধ্যে। ১৫৬টি পানির পাম্পে আধুনিকায়নের জন্য এসসিএডিএ স্থাপন করা হয়েছে। এতে পাম্পগুলো সার্বক্ষণিক কন্ট্রোলরুমে বসে মনিটরিং ও পরিচালনা করার সুবিধা হয়েছে। নগরীর যানজট পরিস্থিতি বিবেচনা করে পাম্প ব্রেকডাউন হলে সর্বোচ্চ ১২ ঘণ্টার মধ্যে চালু করতে আরো তিনটি সাব অফিস চালু করা হয়েছে। এছাড়া ওয়াটার কোয়ালিটি মেইনটেইন এন্ড মনিটরিংয়ের জন্য খোলা হয়েছে আরো দুটি সাব অফিস। শোধনাগারগুলির পানি সরবরাহ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে। গ্রাহকদের সমস্যা সমাধানের হটলাইন চালু করা হয়েছে। যার নাম্বার ১৬১৬২।

এক প্রশ্নের জবাবে তাকসিম এ খান বলেন, রাজউক আইনে আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনে পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিধান রয়েছে। কিন্তু ঢাকার মাত্র ২০ শতাংশ ভবনে রয়েছে এই ব্যবস্থা। বাকি ৮০ ভাগ আবাসিক-বাণিজ্যিক ভবনে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা নেই। ভবনগুলো সিটি করপোরেশনের নালায় সরাসরি সংযোগ দেওয়া। এই অব্যবস্থাপনা দূর করতে রাজধানীর দাসেরকান্দি, উত্তরা, রায়েরবাজার, মিরপুর ও নারায়ণগঞ্জের পাগলায় পৃথক পাঁচটি প্লান্ট স্থাপনের কাজ করা হচ্ছে। এর মধ্যে দাসেরকান্দির কাজ শেষ পর্যায়ে। ২০২৩ সালের মধ্যে এগুলো বাস্তবায়ন হলে খাল-নদী দূষণমুক্ত হবে।

ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্প, ফেজ-৩ এর প্রস্তুতিমূলক কাজ এগিয়ে চলছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দৈনিক ৪৫ কোটি লিটার পানি শোধন করে নগরীতে সরবরাহ করা হবে। এডিবি, এএফডি, ইআইবি এবং কেএফ ডব্লিউ’র আর্থিক সহায়তায় মেঘনা নদী থেকে পানি এনে শোধনের জন্য ‘গন্ধবপুর পানি শোধনাগার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। যার মাধ্যমে নগরীতে দৈনিক ৫০ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা হবে।

আরও পড়ুনঃ  পণ্য রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৭২ বিলিয়ন ডলার

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন