শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিলুপ্ত হচ্ছে দেশের ১৩৩ শুল্ক স্টেশন

আমদানি-রফতানিসহ বাণিজ্য সুবিধার বিবেচনায় স্থল, নৌ কিংবা আকাশ পথে কাগজে কলমে সারাদেশে ১৮৪ শুল্ক স্টেশন রয়েছে। এসব শুল্ক স্টেশনের অস্তিত্ব সরকারি নথিতে থাকলেও মাত্র ৩৭টি বাস্তবে চালু রয়েছে। অন্যদিকে আরও সাত শুল্ক স্টেশন চালুর প্রক্রিয়া চলমান।

বেশকিছু শুল্ক স্টেশন রয়েছে যাদের অস্ত্বিত্ব কেবল কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ। যা ভবিষ্যতে চালুরও সম্ভাবনা নেই। এবার এরকম ১৩৩ শুল্ক স্টেশন আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত করতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ১৪০ শুল্ক স্টেশনকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু গত ১৩ অক্টোবর এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিমের নেতৃত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক সভায় সাতটি এলসি স্টেশন বহাল রাখার পক্ষে মতামত আসে। ফলে ওই সাতটি বাদ দিয়ে বাকি ১৩৩ স্টেশনকে বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় উপস্থিত এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, বিদ্যমান বাস্তবতার আলোকে তালিকাভুক্ত ১৮৪ শুল্ক স্টেশনের মধ্যে যে সব এলসি স্টেশন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ও অদূর ভবিষ্যতে চালু হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে, এমন ১৪০ এলসি স্টেশন তথা শুল্ক স্টেশন প্রজ্ঞাপনে আর না রেখে তা বিলুপ্ত করার পক্ষে মতামত এসেছিল। তবে উপস্থিত ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ সব অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে প্রেমতলী (গোদাবাড়ি), আরিচাঘাট, মুজিবনগর (বৈদ্যনাথ তলা), রায়মঙ্গল/আংটিহারা, ধামর হাট, আমনুরা রেল স্টেশন ও রাজশাহী বহাল রাখার সিদ্ধান্ত হয়। তাই সাতটি ছাড়া অন্যান্য সব অনুমোদিত এলসি স্টেশন বাতিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে ১৩৩ স্টেশন বিলুপ্ত করার বিষয়ে সবাই একমত হন। যদিও চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপনের আগে এমন সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত বলা যাচ্ছে না। আমদানি-রফতানির সাথে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান ও প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আরও পড়ুনঃ  ভ্যাটের আওতা বাড়াতে এনবিআরে জরিপ

এ ব্যাপারে এনবিআর সদস্য জাকিয়া সুলতানা জানান, সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। আমাদের অংশীজনের আলোচনা হবে। তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এনবিআরের কাস্টম বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, এনবিআর এককভাবে কোনো শুল্ক স্টেশন সরাসরি বন্ধ করতে পারে না। সরকারের সিদ্ধান্তের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মতামত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আমাদের লক্ষ্য হয় দীর্ঘদিন আগের ঘোষণাকরা শুল্ক স্টেশনগুলো চালু হোক, না হলে স্থায়ীভাবে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হোক। যেখান দিয়ে আমদানি বা রফতানির কোনো সুযোগ ও সম্ভাবনা নেই, তা কাগজে-কলমে রাখার কি দরকার।

আনন্দবাজার/ টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন