শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেনাপোলে ১০ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ফেঁসে যাচ্ছে শুল্ক চুরিতে

সম্প্রতি যশোরের বেনাপোলের ১০ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে শুল্ক চুরির তদন্ত শেষ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গেল বুধবার এবং বৃহস্পতিবার তদন্ত শেষ করে তিন সদস্যর কমিটি। তবে এ তদন্তের নেতৃত্ব দেন মোংলা কাস্টমসের কমিশনার হোসেন আহমদ। এ সময় সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীরা তাদের বিরুদ্ধে আনা শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে লিখিত আবেদন জমা দেন কমিটির কাছে।

এ বছরের জানুয়ারির শুরুতে মোটরসাইকেল আমদানি করে ৫০ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার ঘটনা ধরা পড়ে। রাজস্ব ফাঁকির ঘটনা তদন্ত করে শুল্ক গোয়েন্দা এবং তদন্ত অধিদফতর। শুল্ক গোয়েন্দা এবং তদন্ত অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান টিভিএস অটো বাংলাদেশ লিমিটেড মোটরসাইকেলের খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানির ঘোষণা দেয়। ঘোষণা অনুযায়ী খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানি না করে বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি শ’ শ’ পূর্ণাঙ্গ (কমপ্লিট) মোটরসাইকেল আমদানি করে। যন্ত্রাংশ ঘোষণা দিয়ে এইচএস কোড ৮৭১৪.১০.৯০ এর বিপরীতে ৫৮.৬০ শতাংশ শুল্ক কর পরিশোধ করে।

সিপিসি ৬৮০ এর সুবিধা নিয়ে রেয়াতি হারে বিপুলসংখ্যক পণ্য খালাস করে। এভাবে কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হয়েছিল। টিভিএস অটো বাংলাদেশ লিমিটেড ও বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স শামসুর রহমান এবং সুজন এন্টারপ্রাইজ জালিয়াতির মাধ্যমে বড় রকমের শুল্ক চুরি করে। পণ্য চালানে এলসি, ইনভয়েজ এবং প্যাকিং লিস্ট জালিয়াতি করে শুল্ক চুরি ও মানি লন্ডারিং করা হয়েছিল বলে অভিযোগ যায় এনবিআরে। আর তাকে সহায়তা করেন বেনাপোল কাস্টমসের সাবেক কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী।

আরও পড়ুনঃ  তৃতীয় দিনেই হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়

এই ব্যাপারে মেসার্স শামছুর রহমানের মালিক শামছুর রহমান জানান, আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। তবে আমি তদন্ত কমিটির কাছে লিখিত ব্যাখ্যা দিয়েছি। আমার মতো সবাই লিখিত ব্যাখ্যা জমা দিয়েছে। মেসার্স অর্ণব এন্টার প্রাইজের মালিক মো. এমদাদুর রহমান বাবু বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে বড় ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। অযথা হয়রানি করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।

ব্যাপারটি নিশ্চিত করে বেনাপোল কাস্টমসের কমিশনার আজিজুর রহমান বলেন, তদন্ত কমিটি গত দুইদিন ধরে কাজ করে ফিরে গেছেন। পরে তারা এনবিআরে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবেন। তবে অভিযোগগুলো প্রমাণ হলে সেখানে তারা সুপারিশ করবেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা নেয়া যায়।

এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির প্রধান ও মোংলা কাস্টমস কমিশনার হোসেন আহমদ জানান, আমরা খুব বেশি তথ্য প্রমাণ ছাড়াই এই তদন্তে নেমেছিলাম। তারপরও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রমাণ সংগ্রহ করেছি। খুব শিগগিরই তদন্ত রিপোর্ট জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে আমরা সেগুলো জমা দেব।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন