শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সুযোগ পাচ্ছেন ২২ খাতে বিনিয়োগকারীরা

বিনিয়োগে করছাড়

বিনিয়োগে করছাড়

অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিনিয়োগ বৃদ্ধিকে গুরুত্ব দিয়ে কর ছাড় দেয়া হয়েছে। এরই ধারায় ২২ খাতে বিনিয়োগ ও দান করলে করদাতা আয়করের ক্ষেত্রে ছাড় বা কর রেয়াত সুবিধা পাচ্ছেন। করদাতা তার মোট বার্ষিক আয়ের ২০ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ বা দানে, এ সুবিধা পাবেন।

আয়কর নির্দেশিকা ২০২২-২০২৩ অনুসারে, নির্ধারিত সময় ৩০ নভেম্বরের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করলে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত কর রেয়াত মিলবে। নির্ধারিত সময়ের পরে রিটার্ন দাখিল করলে করছাড় কমে অর্ধেক (৭ দশমিক ৫ শতাংশ) হয়ে যাবে। এই শর্ত কেবলমাত্র পুরোনো করদাতা যিনি এর আগে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন, তার জন্য প্রযোজ্য।

আয়কর নির্দেশিকা অনুসারে বিনিয়োগ ও দানের খাতগুলো হলো- জীবন বিমার প্রিমিয়াম, সরকারি কর্মকর্তার প্রভিডেন্ট ফান্ডে চাঁদা, স্বীকৃত ভবিষ্যৎ তহবিলে নিয়োগকর্তা ও কর্মকর্তার চাঁদা, কল্যাণ তহবিল ও গোষ্ঠী বিমা তহবিলে চাঁদা, সুপার এনুয়েশন ফান্ডে প্রদত্ত চাঁদা, যেকোনো তফসিলি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিপোজিট পেনশন স্কিমে বার্ষিক সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা বিনিয়োগ, সঞ্চয়পত্র ক্রয়ে বিনিয়োগ, বাংলাদেশের স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার, স্টক, মিউচ্যুয়াল ফান্ড বা ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগ, বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ, জাতির জনকের স্মৃতি রক্ষার্থে নিয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানে অনুদান, যাকাত তহবিলে দান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত কোনো দাতব্য হাসপাতালে দান, প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে স্থাপিত প্রতিষ্ঠানে দান, মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে প্রদত্ত দান, আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কে দান, আহসানিয়া ক্যান্সার হাসপাতালে দান, আইসিডিডিআরবিতে প্রদত্ত দান, সাভারে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র সিআরপি এ প্রদত্ত দান, সরকার অনুমোদিত জনকল্যাণমূলক বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দান, এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ এ দান, ঢাকা আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতালে দান এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার্থে নিয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের কোনো প্রতিষ্ঠানে অনুদান।

আরও পড়ুনঃ  রাষ্ট্রপতির ভাষণে শুরু হবে সংসদ অধিবেশন

তথ্যানুসারে, বিনিয়োগকারী বা দানশীল করদাতার মোট করযোগ্য আয় নির্বিশেষে রেয়াতযোগ্য অংকের ওপর ১৫ শতাংশ হারে কর রেয়াতের বিধান করা হয়েছে। করদাতার বার্ষিক আয়, ব্যয় ও সম্পদের তথ্যাবলী নির্ধারিত ফরমে উপস্থাপন করতে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হয়। আয়কর আইন অনুযায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্ধারিত ফরমে বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দেওয়ার সময় যথাযথভাবে হিসাব-নিকাশ করে এমন সুযোগ গ্রহণ করা যাবে।

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন