শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি ঋণ নয়

মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি ঋণ নয়

নতুন নির্দেশনায় একক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ফান্ডেড ঋণ ১৫% ও নন-ফান্ডেড ঋণ ১০% শতাংশের বেশি ঋণ দিতে পারবে না বলে নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ঝুঁকি কমিয়ে আনতে একক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দেয়া ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনতে এমন নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে একক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড মিলিয়ে ব্যাংক তার মোট মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি ঋণ দিতে পারবে না; যা আগে ছিল ৩৫ শতাংশ।

রবিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং রেগুলেশন এন্ড পলিসি ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক এক সার্কুলার ইস্যু করে এমন নির্দেশনা দেয়া হয়।

ফান্ডেড ঋণ বলতে ব্যাংক থেকে সরাসরি টাকা দেওয়াকে বোঝায়। আর নন-ফান্ডেড বলতে লেটার অফ ক্রেডিট (এলসি), গ্যারান্টিসহ বিভিন্ন দায়কে বোঝানো হয়। যদিও আগের নিয়ম অনুযায়ী, একক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ব্যাংক তার মোট দায়ের ৩৫ শতাংশ ঋণ দিতে পারতো। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ ছিল ফান্ডেড। আর ২০ শতাংশ নন-ফান্ডেড ঋণ। তবে পাওয়ার সেক্টরের ক্ষেত্রে ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড মিলিয়ে মোট মূলধনের ৫০ শতাংশ দিতে পারবে।

প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, যেসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৩ শতাংশের নিচে তারা সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ঋণ দিতে পারবে। যাদের খেলাপি ঋণ ৫ শতাংশের কম তারা ৪৬ শতাংশ ঋণ দিতে পারবে, যাদের ১০ শতাংশের কম তারা ৪২%, এবং যাদের খেলাপি ঋণ ১৫ শতাংশের কম তারা দিতে পারবে ৩৮%।

এছাড়া যাদের খেলাপি ঋণ ২০ শতাংশের কম তারা দিতে পারবে ৩৪%, এবং যাদের ২০ শতাংশের চেয়ে বেশি তারা ঋণ দিতে পারবে ৩০%। যা আগের নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিটি ক্ষেত্রে কিছুটা কমিয়ে আনা হয়েছে। ব্যাংকিং খাতকে আরও স্থিতিশীল করে তুলতে এবং ব্যাংকগুলোর ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই সার্কুলার জারি করেছে।

আরও পড়ুনঃ  রেমিট্যান্সে আরেক ধাক্কা

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী একক ঋণগ্রহীতার ক্ষেত্রে ঋণ ২৫% এর বেশি হবে না এমন নির্দেশনা দেয়া হয়। সেটাকে অনুসরণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন এ নির্দেশনা দিয়েছে।

আনন্দবাজার/এম.আর

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন