শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বজনীন পেনশন

এক মাসে যুক্ত হলেন ১৩ হাজার মানুষ

এক মাসে যুক্ত হলেন ১৩ হাজার মানুষ

দেশের নাগরিকদের জন্য বহুল প্রতীক্ষিত সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি (স্কিম) চালুর এক মাস পেরিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৭ আগস্ট পেনশন স্কিমের উদ্বোধন করেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য গোলাম মোস্তফা জানিয়েছেন রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত এই এক মাসে কিস্তির টাকা জমা দিয়ে বিভিন্ন স্কিমে ১২ হাজার ৯৭০ জন নিবন্ধন নিয়েছেন। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত পেনশন স্কিমে যুক্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৯৭০ জন। তবে নিবন্ধন হিসাব করলে সংখ্যা আরও বেশি হবে। কিন্তু আমরা শুধু নিবন্ধনের হিসাব আমলে না নিয়ে টাকা জমা দিয়ে আক্ষরিক অর্থে যারা যুক্ত হয়েছেন তাদের হিসাব নিচ্ছি।

গোলাম মোস্তফা প্রথম এক মাসে পেনশন স্কিমের সাড়া নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন, এ ধরণের একটি প্রোগ্রামের জন্য এক মাস বেশি সময় না। যারা যুক্ত হয়েছেন তারা স্বতস্ফূর্ত তাগিদে যুক্ত হয়েছেন। এ বিষয়ে আরও প্রচারণার প্রয়োজন আছে। আর একটি বিষয় হচ্ছে, মানুষ স্কিম করার আগে তার অর্থনৈতিক সক্ষমতাও হিসাব করছে। মানুষকে সময় দিতে হবে, আমরা আমাদের প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। আমরা আশা করছি, ভবিষ্যতে এটা বাড়বে।

যারা শুধু এটা সম্পর্কে জানতে পারছেন, তারাই এখানে নিবন্ধন করছেন জানিয়ে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের এই কর্মকর্তা বলেন, জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ এর প্রচারণার জন্য নানা উপায় বেছে নিয়েছে। জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন টক শো’র মাধ্যমে আমরা পেনশন স্কিমের ধারণা পরিষ্কার করার কাজ করছি। এছাড়া প্রবাসী স্কিমে নিবন্ধন বাড়াতে বিদেশি মিশনগুলোর সঙ্গে আলাদা করে কাজ করছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। আর মাঠ পর্যায়ে জেলা প্রশাসকদের যুক্ত করে চেষ্টা করা হচ্ছে প্রান্তিক মানুষদের কাছে পৌঁছানোর।

আরও পড়ুনঃ  আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আনার নির্দেশ

প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা মোট চারটি ধরন রয়েছে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে। এর মধ্যে প্রগতি স্কিমে ছয় হাজার ১৭৬টি অ্যাকাউন্ট চালু হয়েছে, যা পেনশন স্কিমের মোট অ্যাকাউন্টের প্রায় অর্ধেক। এছাড়া পরবর্তী সময়ে শ্রমজীবী ও শিক্ষার্থীদের জন্য আরও দুই ধরনের প্যাকেজ চালু করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনে সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তনের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর লক্ষ্যে জাতীয় সংসদ কর্তৃক ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩’ পাস করা হয়। বহুল প্রতীক্ষিত সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি (স্কিম) ১৭ আগস্ট সকালে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপরই সবার জন্য সার্বজনীন পেনশন কর্মসূচি উন্মুক্ত করা হয়। উদ্বোধনের পর জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট- www.upension.gov.bd চালু করা হয়েছে এবং চারটি স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস, ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড ও ব্যাংকে টাকা দেয়া শুরু হয়েছে। সিস্টেম চালু হওয়ার পর থেকে দেশে এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।

এছাড়াও, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের জারি করা সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা অনুযায়ী, এ কর্মসূচিতে যুক্ত হলে ৬০ বছর বয়সের পর থেকে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন গ্রাহক। চাঁদা পরিশোধের পর তিনি মারা গেলে তার নমিনি বা উত্তরাধিকারী পেনশন পাবেন ১৫ বছর।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন