শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঋণে শর্তহীন আইএমএফ

ঋণে শর্তহীন আইএমএফ

পাওয়া না পাওয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত আগামী সপ্তায়

বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ পাবে কিনা সে বিষয়ে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আইএমএফের প্রতিনিধিদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জি এম আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য জানান। তিনি জানান, আইএমএফের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে মিটিং করেছে। আগামী ৩০ ও ৩১ অক্টোবর এবং ২ ও ৮ নভেম্বর আবার বৈঠক হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত তিনটি বৈঠক হয়েছে। আরও তিনটি বৈঠক হবে। প্রথম পর্বের বৈঠকে বাংলাদেশকে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার বিষয়ে আইএমএফ-এর দিক থেকে যে আশ্বাস রয়েছে, সেটি নিয়ে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনায় ঋণ দেওয়ার বিষয়ে আইএমএফ কোনো শর্ত দেয়নি। তবে আর্থিক খাতের সংস্কার, নীতি ও ব্যাংকিং খাতের শৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ডলারের বিনিময় হার প্রসঙ্গে কথা হয়েছে। বৈঠকে প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ডলারের ভিন্ন ভিন্ন রেট সম্পর্কে জানতে চায়। জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের রেট ৯৭ টাকা আর বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর রেট বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বিকেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ এবং অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগের সঙ্গে বৈঠকে বসে প্রতিনিধি দল। বৈঠকে রিজার্ভ-এর হিসাব পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হবে বলে সূত্রটি জানিয়েছে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কত? এ নিয়ে বিভিন্ন মহলের প্রশ্ন বিতর্ক জন্ম দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলছে, রিজার্ভের হিসাব বেশি দেখানো হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের দাবি, আগে থেকে যেভাবে হিসাব হয়েছে সেই পদ্ধতিতেই রিজার্ভের গ্রস বা মোট হিসাব প্রকাশ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  করোনার প্রভাবে দাড়াতে পাড়ছেনা চীনা শেয়ারবাজার

দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে হিসাবের পরামর্শ দিচ্ছে আইএমএফ। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজেদের মত করেই হিসাব করছে। সেই হিসাবে বর্তমানে দেশের রিজার্ভের পরিমাণ ৩৫ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার। তবে আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি অনুসরণ করলে তা কমে দাঁড়াবে ২৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আগামীতে অনুষ্ঠেয় বৈঠকগুলোতে রিসেন্ট মনিটরিং ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড আউটলুক, ইন্টারেস্ট রেট ডেভেলপমেন্ট, সরকারি বন্ড, মানেটারি এক্সচেঞ্জ রেট, রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট, ব্যাংকিং ইস্যুস, ব্যালেন্স অব পেমেন্ট, এক্সটার্নাল লোন ডিসবার্সমেন্ট আইএমএফ টিএ রিপোর্টস, রিসেন্ট ট্রেড পারফর্মেন্স, রিসেন্ট এক্সচেঞ্জ পারফর্মেন্স, রিস্ক বেসড সুপারভিসন এবং টেকনিক্যাল মিটিং অন এএমএলের বিষয়ে আলোচনা হবে।

এছাড়া ফাইন্যান্সিয়াল ডেটা, অন্যান্য বড় চ্যালেঞ্জ, বপ রেটেড ম্যাটার্স, মানেটারি পলিসি স্ট্র্যাটেজি, এক্সচেঞ্জ রেট প্রেসার, ইনস্টিটিউশনাল অটোনমি অ্যান্ড গভর্নেন্স, কমার্শিয়াল ব্যাংক পারফর্ম্যান্স এবং এফএসএপি আপডেটের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন