শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিউইয়র্কের বিলে ব্যয় বৃদ্ধির শঙ্কা

নিউইয়র্কের বিলে ব্যয় বৃদ্ধির শঙ্কা

অযৌক্তিক কিছু করতে গিয়ে যে খরচ বাড়বে, তারা যেন তা দেয়

ফারুক হাসান, সভাপতি, বিজিএমইএ

বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য পোশাকের অন্যতম বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। পোশাক কারখানায় বা ফ্যাশন শিল্প খাতকে আরও জবাবদিহির মধ্যে আনতে বিস্তৃত ও স্থায়ী একটি আইন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক রাজ্য। তৈরি পোশাক ও জুতা শিল্পে পরিবেশগত ও সামাজিক সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আইনটি করার প্রক্রিয়া চলছে। তবে নতুন এ আইনের ফলে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান। তাই আইন প্রণয়ণের পাশাপাশি ফেয়ার প্রাইজ নিশ্চিতের দাবি জানান এ ব্যবসায়িক নেতা।

র‌্যাব কর্মকর্তাদের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে নতুন করে এ আইন নিয়ে পোশাক খাতে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। গত ২৮ জানুয়ারি নিউইয়র্কের আইনসভায় ফ্যাশন সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি অ্যাক্ট নামের ওই বিল উত্থাপন করা হয়। সংক্ষেপে এটিকে ফ্যাশন আইন বলা হচ্ছে। নিউইয়র্ক রাজ্যের সিনেটর আলেসান্দ্রা বিয়াগি ও নারী সাংসদ অ্যানা কেলেসের উদ্যোগে আনা এই বিলটি চলতি অধিবেশনেই পাস হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। বিলটি সম্পর্কে সিনেটর বিয়াগি বলেছেন, এই আইন শ্রম, মানবাধিকার ও পরিবেশগত সুরক্ষার দিকগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া তৈরি পোশাকের বড় গন্তব্য হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। গত বছর মোট পোশাক রপ্তানির ২০ শতাংশ গেছে যুক্তরাষ্ট্রে। ফলে নতুন এই বিল নিয়ে পোশাকশিল্পের মালিকেরা খোঁজখবর রাখছেন। এ আইন নিয়ে বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, এ আইন হতে সময় লাগবে। তবে আমরা দেশি ও আন্তর্জাতিক সব আইন মেনেই ব্যবসা করি সুতরা এটা নিয়ে আমাদের কোন সমস্যা নেই। কিন্তু এসব আইন পরিপালন করতে গিয়ে আমাদের খরচ বেড়ে যায়। সবাই খরচ বাড়িয়ে দেয় কিন্তু কেউ পেমেন্টে দেয় না। তাদের কনজিউমার ও বায়াররা এসব বিচার বিবেচনা করে যেন প্রাইজ দেয়। অযৌক্তিক কিছু যেন না করে। এগুলো করতে যেয়ে যে খরচ বাড়বে, সে খরচ তারা যেন দেয়।’

আরও পড়ুনঃ  দরে উল্লম্ফন এসএমইতে

নিউইয়র্ক টাইম জানিয়েছে, ম্যাপিং নির্দেশিকা মেনে চলার জন্য কোম্পানিগুলো এক বছর সময় পাবে। আর পরিবেশগত ও সামাজিক প্রভাব প্রকাশের জন্য তারা পাবে ১৮ মাস সময়। আইন লঙ্ঘন করলে কোম্পানিগুলোর বার্ষিক আয়ের ২ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। এই অর্থ পরিবেশ সংরক্ষণ বিভাগ পরিচালিত নতুন একটি তহবিলে চলে যাবে। নিউইয়র্কে ব্যবসা করা ফ্যাশন কোম্পানিগুলো বছরে ১০ কোটি ডলারের বেশি ব্যবসা করে।

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন