ঢাকা | বুধবার
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দাগনভূঞায় ফুটপাতে শীতের পোশাকের বেচাকেনার ধুম

দাগনভূঞায় ফুটপাতে শীতের পোশাকের বেচাকেনার ধুম

কয়েকদিন পরই পৌষ। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তাই বাড়ছে শীতের তীব্রতা। এরই মধ্যে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পৌঁছেছে ১১ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার সকালও থাকছে কুয়াশার চাদরে মোড়া। শীত জেঁকে বসতে শুরু করায় চাহিদা বাড়ছে শীতের পোশাকের। আর তাই বেচাবিক্রি বেড়েছে এমন পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসা দোকানে। তবে, শো-রুমের তুলনায় ফুটপথে দেখা মিলছে জনতার ভিড়।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ভ্যানে পুরোনো গরম কাপড় বিক্রির ধুম পড়েছে। এখানে ক্রেতার ভিড়ও চোখে পড়ার মতো। সন্ধ্যার পর থেকে দোকানগুলোতে পা ফেলার জায়গা থাকে না। পুরোনো সোয়েটার, জাম্পার, জ্যাকেট, ফুলহাতা গেঞ্জি, মোজা, মাফলার পাওয়া যায় খুব অল্প দামের মধ্যে। আর এসব পোশাক থেকেই বাছাই করে চাহিদামত পোশাক কিনছেন স্বল্প আয়ের মানুষ।

কাপড় বিক্রেতা মনির হোসেন বলেন, ধীরে ধীরে বাড়ছে শীত। তাই আমরা শীতের কাপড় সাজিয়ে রাখছি। শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের মানুষের শীতের পোশাক রয়েছে এখানে। বেচাকেনাও ধীরে ধীরে বাড়ছে।

ফুটপাতের পোশাক বিক্রেতা আকবর আলী বলেন, শীতের কাপড় কেনার জন্য স্বল্প আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্তরাও ভিড় করছেন। ক্রেতাদের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বেচাকেনাও বেশি হচ্ছে।

উপজেলার হাটের পোশাক বিক্রেতা নাহিদুল হক বলেন, কয়েকদিন ধরে শীতের পোশাক ভালোই বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী এখানে নানা ধরনের পোশাক রয়েছে। তাই ক্রেতারা ভিড় করছেন পছন্দের পোশাক কিনতে। পোশাকের দাম সর্বসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকায় বেচাকেনাও ভালো হচ্ছে।

জামাল ভূঞা নামে এক ক্রেতা বলেন, হতদরিদ্র থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন এইসব রকমারি পোশাকের ক্রেতা। এখানে স্বল্প আয়ের লোকজন সাধ ও সাধ্যের সমন্বয়ে বিভিন্ন পোশাক পাচ্ছেন। তাই কেনাকাটা বেশি হচ্ছে। আমিও নিজেরসহ ছেলে-মেয়ের জন্য কয়েকটা পোশাক কিনেছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন