শুক্রবার, ২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রুপিতে লেনদেন: অনুমতি মিলল আরও দুই ব্যাংকের

বাংলাদেশ-ভারতের বাণিজ্য রুপিতে চালুর আগ্রহ দেখিয়েছে অনেক ব্যাংকই। ডলারের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরতা কমানো ও ডলার সাশ্রয়ে চলতি বছরের জুলাইয়ে রুপিতে লেনদেন চালু হয়। ফলে রুপিতে লেনদেনের জন্য নতুন করে আরও দুটি ব্যাংক অনুমতি পেয়েছে। ব্যাংক দুটি হলো ইসলামী ব্যাংক এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক। এর ফলে রুপিতে বাণিজ্য পরিচালনা ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী ব্যাংকের সংখ্যা এখন দাঁড়ালো চারটিতে।

দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আরও ৬ ব্যাংক অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছে। ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে- ট্রাস্ট ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, এবি ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক এবং প্রিমিয়ার ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গত ১১ জুলাই ভারতের সঙ্গে রুপিতে বাণিজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়। শুরুতে রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক এবং ইস্টার্ন ব্যাংককে (ইবিএল) পণ্য আমদানি-রপ্তানির জন্য ডলারের পরিবর্তে রুপিতে এলসি খোলার অনুমতি দেওয়া হয়। এখন ইসলামী ব্যাংক এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড অনুমতি পেল।

প্রসঙ্গত, ভারতের সঙ্গে আমাদের প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য। এরমধ্যে ২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ভারতে রপ্তানি করে থাকে দেশ। পুরোপুরি ট্রেড শুরু হলে রুপি দিয়ে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব বলে জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এখন পর্যন্ত বেসরকারি খাতের ইস্টার্ন ব্যাংক প্রাণ গ্রুপের জন্য ১.১ মিলিয়ন রুপি মূল্যের প্রাণ টোস্ট এবং ১.৩ মিলিয়ন রুপি মূল্যের কাঁচামালের জন্য এলসি খুলেছে ও নিষ্পত্তি করেছে। স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া আমদানির জন্য ১৬.১ মিলিয়ন রুপি এবং রপ্তানির জন্য ১২.৪ মিলিয়ন রুপির মোট চারটি এলসি খুলেছে। নিটল-নিলয় গ্রুপের সঙ্গে যানবাহন আমদানি এবং অপরিশোধিত সয়া তেলের জন্য এসব এলসি খোলা হয়। আর ওয়ালটন গ্রুপের অধীনে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র জন্য আমদানি ও রপ্তানি এলসি খুলেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।

Print Friendly, PDF & Email
আরও পড়ুনঃ  ৫৮৩ কোটি টাকায় এক কার্গো এলএনজি কিনবে সরকার

সংবাদটি শেয়ার করুন