শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের অংশগ্রহণ জি-২০ সম্মেলনকে সমৃদ্ধ করবে: প্রণয় ভার্মা

বাংলাদেশের অংশগ্রহণ জি-২০ সম্মেলনকে সমৃদ্ধ করবে: প্রণয় ভার্মা

জি-২০ সম্মেলনে বিশ্বকে বলার মতো উন্নয়নের গল্প বাংলাদেশের আছে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘রোড টু জি২০: ঢাকা টু নয়াদিল্লি’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আগামী ৯ দিনের মধ্যে দিল্লিতে ১৮তম জি-২০ সম্মেলনের আয়োজন করেছে ভারত। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও স্বাগত জানাতে আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। এ সম্মেলনে অতিথি দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদারত্বেরই প্রতিফলন ঘটেছে। পাশাপাশি এটি আমাদের দৃঢ় প্রত্যয় যে, জি-২০ সম্মেলনে বিশ্বকে বলার মতো উন্নয়নের গল্প বাংলাদেশের আছে। বাংলাদেশের অংশগ্রহণ জি-২০ সম্মেলনকেও সমৃদ্ধ করবে।

প্রণয় কুমার ভার্মা বলেন, ভারতের জি-২০ সম্মেলনের থিমের অর্থ হলো, ‘সারা বিশ্ব একটি পরিবার’। এর মধ্য দিয়ে সর্বজনীনতাবাদে আমাদের প্রাচীন দর্শনেরই প্রতিফলন ঘটেছে। জি-২০ সম্মেলনে আমদের সম্মেলনের যে মূলমন্ত্র, ‘একটি বিশ্ব, একটি পরিবার ও একটি ভবিষ্যত’, সে বিষয়টিকেই আমরা তুলে ধরতে চেয়েছি। এতে মানবতার পারস্পরিক সংযুক্ততার গুরুত্ব ফুটে উঠেছে। এই সংযুক্ততার ফলে আমরা যে প্রতিকূলতার মুখোমুখি, তার সমাধান ও আমাদের ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধির বিষয়টিও সামনে চলে এসেছে। এছাড়া আমাদের মতৈক্যের ভাবনাও সঞ্চারিত হয় এ থিমের মধ্য দিয়ে।

তিনি বলেন, এমন এক সময়ে ভারত জি-২০ এর সভাপতিত্ব গ্রহণ করে, যখন করোনা মহামারি থেকে বিশ্ব পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে। এছাড়া সাপ্লাই চেইন সমস্যা, জলবায়ুর বৈরী প্রভাব, মূল্যস্ফীতি, আসন্ন ঋণসংকট, খাদ্য ও জ্বালানির নিরাপত্তা, ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাসহ নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি বিশ্ব। এতে বৈশ্বিক অর্থনীতির গতি কমে যায় ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও অনিশ্চয়তা তৈরি করে। কিন্তু এসবের মধ্যেও জি-২০ এর সভাপতিত্ব গ্রহণ এজেন্ডা নির্ধারণে ও কঠিন সময়ে সামগ্রিক কল্যাণের চেষ্টায় নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সক্ষমতারই স্বীকৃতি। এটি আমাদের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আস্থারও প্রতিফলন।

আরও পড়ুনঃ  সড়ক নিরাপত্তায় ৩৭৬০ কোটি টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক

ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের ও ২০৪১ সালে একটি উন্নত দেশে রূপান্তরিত হতে চায়। ভারতও ২০৪৭ সাল নাগাদ উন্নত দেশে উত্তীর্ণ হতে চায়। কাজেই প্রাকৃতকিভাবেই আমাদের সহযোগিতা নতুন দিগন্তে সম্প্রসারিত হবে। এ সহযোগিতা কেবল দ্বিপাক্ষিকভাবেই গুরুত্বপূর্ণ না, বৈশ্বিক আলোচনা যে অন্তর্ভুক্তিতা, সহনশীলতা ও স্থায়িত্বের দিকে যাচ্ছে, সে ক্ষেত্রে এটি তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী ও বিশেষ বন্ধু হিসেবে সক্রিয়ভাবে জি-২০ সম্মেলনে অংশগ্রহণ ও সেখানকার আলোচনা সমৃদ্ধ করার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন