ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সময় বাড়লো খোলা সয়াবিন তেল বিক্রির

সময় বাড়লো খোলা সয়াবিন তেল বিক্রির

ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে বাজারে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রির সময় বাড়ানো হয়েছে। সোমবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে সচেতনতামূলক এক সভা হয় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

‘খোলা সয়াবিন তেল বিপণন ও বিক্রয় বন্ধ এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯’ ব্যানারে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান।

তিনি বলেন, গত ১ আগস্ট থেকে বাজারে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। তবে সেটি কার্যকরে আরও সময় চেয়েছে ভোজ্যতেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। তাদের কথা ভেবে আরও ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে।

এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, ২০১৩ সালের আইনে ভোজ্যতেলে ভিটামিন এ অন্তর্ভুক্তের বিষয়টি যোগ করা হয়। ২০১৯ সালের আইনে প্যাকেট বা বোতলজাত করার বিধান রাখা হয়। এজন্য গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত সময় নির্ধারিত ছিল। তবে এর মধ্যে প্রস্তুত ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তা শতভাগ করতে পারেনি।

তিনি বলেন, খোলা সয়াবিন তেলে ভেজাল দেয়া হচ্ছে। এছাড়া পাম তেল বলে তা বিক্রি হচ্ছে। এতে গ্রাহকরা ঠকছেন। তাছাড়া তাদের স্বাস্থ্যহানি হচ্ছে। ফলে এ আইন বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, এর আগে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধে একাধিকবার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিন্তু তা কার্যকর করা যায়নি। খোলা তেলের ড্রামগুলো বেশিরভাগই কেমিক্যালের। এসবে তেলাপোকা, ইঁদুর পাওয়া যাচ্ছে। এজন্য পাম ও সয়াবিন তেল বোতলজাত করতে হবে।

তবে সিটি গ্রুপের উপদেষ্টা অমিতাভ চক্রবর্তী বলেন, খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধ করা এখনই সম্ভব নয়। এতে বাজারে সংকট দেখা দিতে পারে। এজন্য ৬ মাস লাগবে।

পরে এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, বিষয়টি বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়কে জানাবো আমরা। এর আগে আমাদের ৭ দিনের মধ্যে ওয়ার্ক প্ল্যান দিতে হবে। এতে কত দিনের মধ্যে কোম্পানিগুলো কী পদক্ষেপ নেবে, তা উল্লেখ করতে হবে।

এসময় বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মওলা, এস আলম গ্রুপের সিনিয়র ম্যানেজার কাজী সালাহ উদ্দীন আহমেদ, রূপচাঁদার জেনারেল ম্যানেজার রবিউল ইসলাম, বিএসটিআইর সহকারী পরিচালক মনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন