শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চসিকের ২ হাজার ১৬১ কোটি টাকার বাজেট

চসিকের ২ হাজার ১৬১ কোটি টাকার বাজেট

২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য দুই হাজার ১৬১ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। এসময় আগের অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটও উপস্থাপন করা হয়েছে। গতকাল রবিাবার দুপুরে চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ বাজেট ঘোষণা করেন সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। মেয়র হিসেবে এটি তার দ্বিতীয় বাজেট ঘোষণা।

২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত বাজেটের দুই হাজার ১৬১ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে নিজস্ব উৎসে আয় ধরা হয়েছে ৯০৪ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। উন্নয়ন অনুদান খাতে সরকার থেকে সম্ভাব্য আয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২১২ কোটি টাকা। অন্যান্য উৎস খাতে ৩৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা আয় ধরা হয়েছে।

এদিকে গত ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য মূল বাজেট ছিল দুই হাজার ৪৬৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা দাঁড়ায় এক হাজার ২০২ কোটি ৫৭ লাখ টাকায়।

বাজেট বক্তৃতায় মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, নগরবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানো এবং চট্টগ্রাম নগরকে পরিবেশগত, প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ ও বাসযোগ্য নগর প্রতিষ্ঠার জন্য এই বাজেট। জনগণের প্রত্যাশিত সেবা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিশ্চিত করতে নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন একটি বৃহৎ পরিবার। এখানে অনেক সেবা সংস্থা নগরবাসীকে বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে থাকে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সবচেয়ে বড় ও অভিভাবক প্রতিষ্ঠান। আমি বিশ্বাস করি, সব সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে সমস্যার সমাধান নিশ্চিত করা যাবে। এখানে সমস্যা আছে এবং থাকবেই। মেধা, দক্ষতা ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে সমাধানের আমাদের পথ আমাদের খুঁজতে হবে। নগরবাসী যে আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে আমাদের নির্বাচিত করেছেন, আমাদেরকে তার প্রতিদান দিতে হবে। অতীত নিয়ে কিছু বলতে চাই না। যা আছে তা নিয়েই আমাদের ভবিষ্যৎ দিকে এগিয়ে যেতে হবে। নগরীর উন্নয়নে গত এক বছরে অনেকগুলো নতুন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছি।

আরও পড়ুনঃ  বন্ড লেনদেনে বাড়লো মূলধন

মেয়র আরও বলেন, চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরীর প্রধান ৩৬টি খালে ৫ হাজার ৬শ ১৬ কোটি টাকার মেগা প্রকল্প বাস্তবায় করছে সিডিএ। যে প্রকল্পের দায়িত্ব বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও পানি উন্নয়ন বোর্ড ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সরকারের প্রকল্প সহায়তায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে। আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উন্নয়নকাজ সম্পন্ন হলে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে দৃশ্যমান পরিবর্তন আসবে। এছাড়া নগরীর অবশিষ্ট ২১টি খালে উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধারের বিষয়ে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডির জন্য কনসালট্যান্ট নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বাজেট ঘোষণাকালে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়া চসিক ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ এবং দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।   

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন