শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জ্বালানি-সারের দাম বাড়ায় দিশেহারা বোরো চাষি

জ্বালানি-সারের দাম বাড়ায় দিশেহারা বোরো চাষি

সারাদেশের ন্যায় গাজীপুরের শ্রীপুরে ডিজেল, ফসফেট-পটাশ সারের দর বৃদ্ধি পাওয়ায় চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো ধানের আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে উপজেলার বোরো চাষিরা। এমনিতেই বোরো ধানচাষ খুব একটা লাভজনক নয়। চাষিদের শঙ্কা বিগত বছরের চেয়ে চলতিবছর ডিজেলের দরবৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। এতে বোরো চাষ নিয়ে তারা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন তারা।

ডিজেলের দর প্রতিলিটারে ১৫ টাকা বৃদ্ধি ও বিদ্যুতের দরও বেড়েছে। চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ডিজেল ও বিদ্যুতের দরবৃদ্ধিতে মারাত্মকভাবে চিন্তিত তারা। শ্রীপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার নূর আলম জানান, চলতি মৌসুমে শ্রীপুর উপজেলায় এগার হাজার চারশত দশ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো আবাদের লক্ষ্যেমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড- দুই হাজার দুই শত সওর হেক্টর ও ৯ হাজার একশত বিশ হেক্টর জমিতে উপশী ও স্থানীয় ২০ হেক্টর জমিতে।

ইতিমধ্যে এলাকার চাষিরা বোরোচাষের জন্য কেউ কেউ ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করেছে জমি প্রস্তুত করে চারারোপনের জন্য। কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, গত বছর প্রতিবিঘা জমি ট্রাক্টরের সাহায্যে চাষ করেছিলাম এক হাজার থেকে ১১শ’ টাকায়। বর্তমানে একবিঘা জমি চাষ করতে দেড় হাজার টাকা লাগে। চারারোপনে শ্রমিক খরচ হয় দুই হাজার থেকে দুই হাজার দুই শত টাকা। মই দিতে লাগে ৩০০ টাকা। বর্তমানে ফসফেট-পটাশ সারের দর আগের চেয়ে কিছুটা বেশি।

শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ইতিমধ্যে উপজেলায় চাষিরা বোরো আবাদের জন্য জমিচাষ করে চারারোপণ শুরু করেছেন। ডিজেলের দর বৃদ্ধি পেলেও সারের দর নিয়ন্ত্রণে। আমাদের কৃষি বিভাগ যথেষ্ট মনিটরিং করছে। আশা করছি কৃষকদের অসুবিধা হবে না।

আরও পড়ুনঃ  ফুলকপিতে চাষির হাসি

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন