শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাইব্রিড লাউয়ে ফলন বেশি

হাইব্রিড লাউয়ে ফলন বেশি

অধিক ফলনশীল ও আকর্ষণীয় হাইব্রিড লাউ সুলতানা চাষে চমক সৃর্ষ্টি করেছেন শ্রীমঙ্গল উপজেলার বনগাঁও গ্রামের চাষি ইমাম হোসেন। লালতীরের অধিক ফলনশীল ও আকর্ষণীয় হাইব্রিড লাউ সুলতানা চাষের সফলতায় অনান্য চাষিদের মাঝেও সাড়া জাগিয়েছেন তিনি। তাঁর এমন সাফল্য দেখে গ্রামের বেকার যুবকসহ অনেকেই এখন ঝুঁকছেন সুলতানা চাষের দিকে। অল্প খরছে অধিক লাভবান হওয়ায় লাউ সুলতানা চাষ করতে আগ্রহী এলাকার অনেক চাষি। উচ্চ ফলনশীল বীজ সকল কৃষদের মাঝে বিস্তার ঘটাতে উদ্যোগ নিয়েছে বীজ এর উৎস প্রতিষ্ঠান লাল তীর সীড।

শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের চাষি ইমাম হোসেন। তিনি প্রথবারেরমত ৩৩ শতাংশ জমিতে হাইব্রিড জাতের লাউ চাষ করেছেন। মাঠে সারি সারি গাছে ঝুলছে অগণিত লাউ। লাউয়ের চারা লাগানোর ৫৫ দিনের মাথায় ফলন আসতে শুরু করে। ওজনে লাউগুলো হয়ে থাকে ৩ থেকে ৪ কেজি। লাউ চাষে খরচ হয়েছে ৩ হাজার টাকা। এখন প্রতিটি লাউ বিক্রি করেছেন ৬০ থেকে ৬৫ টাকা মূল্যে। প্রথম অবস্তায় ২৫ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেন ইমাম হোসেন। বিঘাপ্রতি হাইব্রিড লাউ সুলতানার উৎপাদন হয় ৪৫ থেকে ৫০ টন।

ইমাম হোসেন বলেন, এ সময়ে বাজারে লাউয়ের চাহিদা বেশি থাকে। তাই স্থানীয় বাজারে লাউয়ের চাহিদাও ভালো। স্থানীয়রা বাগানে এসেও লাউ ক্রয় করে নিচ্ছেন। এমন উৎপাদন অব্যাহত থাকলে তিনি প্রায় লক্ষাধিক টাকার উপরে লাউ বিক্রি করতে পারবেন।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কংকন মল্লিক জানান, হাইব্রিড সুলতানা চাষ করে কৃষক অল্প সময়ে লাভবান হবেন। যার বাস্তব প্রমান বনগাঁও গ্রামের কৃষক ইমাম হোসেন। উনাকে দেখে এখন অনেক কৃষক লাউ চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠেছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

হাইব্রিড লাউ সুলতানা বীজের উৎস প্রতিষ্ঠান লাল তীর সীড লিমিটেডের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক তাপস চক্রবর্তী জানান, সুলতানা অধিক ফলনশীল আকর্ষণীয়। এদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ুতে সহনশীল। লাউটি হালকা সবুজ এবং লম্বায় ৫০ সেন্টিমিটার। আমাদের নিজস্ব উৎপাদিত একটি লাউয়ের জাত এটি। কৃষকদের জন্য অনেকটাই আর্থিকভাবে লাভজনক এবং সারাবছর চাষ করা যায়।

আরও পড়ুনঃ  ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় পাটখাত

ইমাম হোসেনের মত অন্যান্য কৃষকরাও যেন তাদের অনেক অনাবাদি, খালি পড়ে থাকা জমিতে লাউ চাষ বৃদ্ধি করেন। এ অঞ্চলে সবজি চাষ বৃদ্ধি এবং নতুন নতুন জাতের সবজির প্রসার ঘটাতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি বলে জানান বিভাগীয় ব্যবস্থাপক তাপস চক্রবর্তী।

আনন্দবাজার/এম.আর

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন