রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজে লাভ দ্বিগুণ

গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজে লাভ দ্বিগুণ

হতাশার মাঝে আশার আলো দেখাচ্ছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার চাষিদের পেঁয়াজ। এখানে গ্রীষ্মকালীন আগাম পেঁয়াজ চাষে সফলতা পাওয়ায় লাভের আশায় বুক বেঁধেছেন চাষিরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কম খরচে অধিক ফলন হয়েছে। এতে বিঘা প্রতি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা আয়ের আশা পেঁয়াজ চাষিদের। এছাড়া উৎপাদিত পেঁয়াজ স্থানীয় চাহিদা মেটাচ্ছে। শীতকালিন ফসল পেঁয়াজের গ্রীষ্মকালীন জাত ১০ বছর আগে উদ্ভাবিত হলেও এ জাতের পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ ছিলো না চাষিদের। তবে দেশে পেঁয়াজের সংকটবাড়ায় কদর বাড়ে এ জাতের।

উপজেলা কৃষিবিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত বছর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এ উপজেলায় ৭৫ বিঘা জমিতে নাসিক রেড এন-৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ হয়। সরেজমিনে বিভিন্ন পেঁয়াজের মাঠে দেখা যায়, কৃষান-কৃষানিরা আগাম পেঁয়াজের বাজার ধরার প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছেন।

সুন্দরখাতা গ্রামের কৃষক নূর রহমান জানান, সরকারি রাজস্ব খাতের কৃষি প্রণোদনার সার, বীজ, প্রশিক্ষণ, অর্থ সহায়তা পেয়ে আমি ১ বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন জাতের এ পেঁয়াজ চাষ করেছি। এতে সেচ, কৃষিশ্রমিক বাদে পুরোটাই লাভ হবে। একবিঘা জমিতে ফলন পাওয়া যাবে ৪০ থেকে ৫০ মণ। সঠিক বাজারমূল্য পেলে খরচ বাদে আয় হবে ৫০ হাজার টাকা। রামডাঙ্গা গ্রামের কৃষকরা জানান, সঠিক সময়ে কৃষি প্রণোদনা, কম পরিশ্রম ও লাভ তুলনামূলক বেশি হওয়ায় এ পেঁয়াজ চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেকেন্দার আলী জানান, আমদানিনির্ভর কমানোসহ দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি মেটাতে কৃষিবান্ধব সরকার যুগান্তকারী পদক্ষেপে গ্রহণ করেছেন। উপজেলায় ৭৫ বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন জাতের পেঁয়াজ চাষ করার জন্য ৭৫ জন কৃষককে বিনামূল্যের বীজ, সার, পলিথিন, পরামর্শ প্রদান, পদ্ধতিগত প্রদর্শনী প্লট স্থাপন ও অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়। কৃষকদের সকল প্রকার পরামর্শ ও কারিগর সহযোগিতা করছেন মাঠ পর্যায়ের কৃষি অফিসাররা। অল্প খরচে লাভবান হওয়ায় কৃষকরা এখন আগ্রহী নতুন জাতের পেঁয়াজ চাষে।

আরও পড়ুনঃ  ভয়-আতঙ্কে নির্ঘুম রাত

আনন্দবাজার/এম.আর

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন