শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মরুভূমির ‘সাম্মাম’ ফল এখন আত্রাইয়ে

প্রথমবারের মতো ‘সাম্মাম’ ফল উৎপাদন করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন নওগাঁর আত্রাই উপজেলার মিরাপুর গ্রামের সফল কৃষক রেজাউল ইসলাম। সৌদি থেকে বীজ সংগ্রহ করে দেড় বিঘা পতিত জমিতে দুই জাতের সাম্মাম চাষ করে প্রায় এক টন ফল উৎপাদন করেছেন তিনি।

রেজাউল ইসলামের রহস্য ঘেরা এই নতুন জাতের রসালো ফল উৎপাদনের খবরে প্রতিদিন তার ক্ষেত দেখতে আসছেন আশপাশের কৃষকরা। কেউ কেউ আগামীতে নতুন জাতের এই রসালো ফল উৎপাদনের জন্য পরামর্শও নিচ্ছেন রেজাউল ইসলামের কাছ থেকে।

সৌদি আরব থেকে বীজ সংগ্রহ করে আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের মিরাপুর এলাকায় পতিত দেড় বিঘা জমিতে তরমুজ জাতীয় দুই ধরনের সাম্মাম বীজ বপন করেন রেজাউল ইসলাম। দেড় মাসের মধ্যেই ফল আসতে শুরু করে। তিন মাসের মধ্যেই পরিপক্ক হয় সাম্মাম ফল। এ ফলটি এলাকায় নতুন, খেতে খুবই মিষ্টি এবং রসালো হওয়ায় অনেকেই কিনছেন শখের বসতবর্তী হয়ে।

এ ব্যাপারে সফল ও সৌাখন কৃষক রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘সাম্মাম’ ফলের তেমন একটা রোগবালাই নেই, গাছে খুব সামান্য সার ও কিটনাশক দিতে হয়। পতিত দেড় বিঘা জমিতে প্রথমবারের মতো সাম্মাম চাষ করে ব্যাপক ফলন পেয়েছেন। প্রায় এক টন ফল উৎপাদন হয়েছে। একেকটি সাম্মাম ফল ২ থেকে আড়াই কেজি ওজন হয়। প্রতি কেজি সাম্মাম পাইকারী দেড়শ’ এবং খুচরা ২ থেকে আড়াইশ’ টাকায় বিক্রি করছেন তিনি।

এ ব্যাপারে রেজাউল ইসলামের ছেলে সোহানুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, পড়াশোনার ফাঁকে বাবার কৃষি কাজে সহায়তা করছেন তিনি। তরমুজ জাতের সাম্মাম ফল উৎপাদনে তেমন কোন বেগ পেতে হয়নি। বীজ রোপন থেকে পরিচর্যা উপর গুরুত্ব দিতে হয়েছে। এছাড়া সময় মতো জৈব সার দেয়া হয়। এভাবে তিন মাস যেতে না যেতেই সাম্মাম পরিপক্ক ফলে রূপ নেয়। এই ফলের বেশ চাহিদা রয়েছে। নতুন জাতের এই ফল চাষ করলে সবাই লাভবান হবে বলে তিনি মনে করেন।

আরও পড়ুনঃ  বৃষ্টিতে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কেএম কাউছার হোসেন বলেন, রেজাউল ইসলাম একজন আদর্শ কৃষক। সে সব সময় নতুন নতুন কৃষিতে আগ্রহী। ‘সাম্মাম’ তরমুজের মতো অনেকটা সংকর জাতের এই ফল গাছে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম। ফলনও বেশ ভালো। খেতে সু-স্বাধু এই ফলের বেশ চাহিদা রয়েছে। এগুলো বিক্রি করে সে লাভবান হবে। তার দেখাদেখি আশপাশের অনেকেই আগামীতে সাম্মাম চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে ।

আনন্দবাজার/শহক/নাহিদ

সংবাদটি শেয়ার করুন