শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লক্ষ্যের তুলনায় কম লবণ উৎপাদন

দেশে ২০১৯-২০ মৌসুমে ১৩ লাখ ৭৩ হাজার টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। যা লক্ষ্যের তুলনায় প্রায় পৌনে পাঁচ লাখ টন কম। এর আগে মৌসুম এর শুরুতে ১৮ লাখ ৫০ হাজার টন লবণ উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল।

জানা যায় মৌসুম শেষে  মূলত  করোনা সংক্রমণের জের ধরে দাম কমতির দিকে থাকায় মৌসুম শেষে আগেই অনেক চাষী লোকসানের মুখে লবণ চাষ বন্ধ করে দিয়েছেন। একই সঙ্গে এবার আগাম বর্ষায় লবণের প্রস্তুত মাঠ নষ্ট হয়ে যাওয়াই লবণ উৎপাদনের লক্ষ্য পূরণে পিছিয়ে রয়েছেন চাষীরা। এতে করে আগামী দিনগুলোয় দেশে লবণের দাম নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

এইদিকে গত এক দশক ধরে প্রতি মৌসুমেই লবণ উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে আসছেন দেশের চাষীরা। গত মৌসুমে চাষীরা ১৫ মে পর্যন্ত লবণ উৎপাদন করতে পেরেছিলেন। উৎপাদন হয়েছিল ১৮ লাখ ২৪ হাজার টন লবণ, যা লক্ষ্যের তুলনায় বেশি। এবার অনেক আগেই উৎপাদন কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে হয়েছে।

কক্সবাজারের লবণচাষীরা জানান, করোনার সংক্রমণের কারণে কয়েক বছরের ব্যবধানে লবণের দাম সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এলে মার্চের শেষ দিকে মাঠ থেকে উঠে যান অনেক কৃষক। দাম বৃদ্ধির আশায় অনেকে খোলা মাঠে লবণ মজুদ করলেও বর্ষা মৌসুম চলে আসায় মাটির নিচে লবণ রাখার সময় চলে এসেছে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে লবণ মজুদের ক্ষেত্রে বিঘাপ্রতি উৎপাদিত লবণে অন্তত ৮-১০ হাজার টাকা খরচ হয়।

তাছাড়া আগে কম দামে লবণ বিক্রি করায় লোকসানে থাকা কৃষকের কাছে এখন আর নগদ অর্থ নেই। একই সঙ্গে দাম কমে যাওয়ায় বাকিতে বিক্রি করা লবণের দাম তুলতে না পারায় চাইলেও দীর্ঘমেয়াদে পণ্যটি মজুদ করতে পারছেন না কক্সবাজারের প্রায় ২৮ হাজার লবণচাষী। এসব কারণে চলতি বছর দেশে উৎপাদিত লবণের চাহিদা-সরবরাহের ঘাটতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  যমুনার চরে অর্থনীতির সুবাতাস

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন