শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিন্ডিকেটে ধান থেকে কৃষকের হাতছাড়া ৬০ কোটি

যশোরের কেশবপুরে এবার ধানের অনেক ভালো ফলন হয়েছে। তবে ফলন ভালো হলেও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে কৃষক পাচ্ছেন না ন্যায্য দাম। ১৫ দিন আগেও যে ধান বিক্রি হচ্ছিল মন প্রতি ১ হাজার ৬০ টাকায়, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৭’শ থেকে সাড়ে ৭’শ টাকায়! ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণেই কমে গেছে ধানের দাম।

প্রতি মণ ধানের মূল্য ১ হাজার ৪০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। তবে সরকারি খাদ্য গুদাম এখনও ধান ক্রয় শুরু না করায় সুবিধাবাদী মহলের দৌড়াত্বে সরকার নির্ধারিত মূল্য পাচ্ছেন না কৃষক। কৃষকদের উৎপাদিত ধানের ৬০ কোটি টাকা চলে যাচ্ছে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের পকেটে।

কৃষকদের অভিযোগ, ধান কাটা ও মাড়াইয়ের শুরুতেই ঝড় বৃষ্টির সম্মুখীণ হতে হয়। এছাড়া করোনার প্রাদুর্ভাবে দেখা দেয় তীব্র শ্রমিক সংকট। এ সুযোগে ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা লাভের আশায় সিন্ডিকেট করে ধানের দরপতন ঘটিয়েছে। তাই ধান ঘরে তুলতেই পানির দরে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

ধান ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান জানান, বর্তমান বাজারে ব্রি-ধান-২৮ ও ব্রি-ধান- ৬৩ চিকন জাতের ধান বিক্রি হচ্ছে ৮’শ ৭০ টাকা থেকে ৮’শ ৮০ টাকা মন দরে। মোটা ও হাইব্রিড জাতের ধান বিক্রি হচ্ছে ৭’শ টাকা থেকে সাড়ে ৭’শ টাকায়। হঠাৎ বাজারে ধান বেশি ওঠায় দরপতন ঘটেছে। সরকার যে ধান কিনছে তাতে বাজারে কোন প্রভাব পড়ছে না।

কেশবপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মহাদেব চন্দ্র সানা বলেন, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে থাকলে আমাদের করার কিছুই নেই। ধান উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন করা হয়েছে। উপজেলার ৩৪টি ব্লকে ৩৪টি লটারি করা হয়েছে। এ উপজেলায় ২০ হাজার কৃষক থাকলেও ধান নেয়া হবে মাত্র ১ হাজার ৯১৫ জন কৃষকের কাছ থেকে। লটারি বিজয়ীদের কাছ থেকে ১ হাজার ৯১৫ মেট্রিক টন ধান সরকারিভাবে ক্রয় করা হবে।

আরও পড়ুনঃ  ফল চাষে সাবলম্বি পুলিশ কনস্টেবল

 

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন