শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বোরো ধান নিয়ে শঙ্কায় পাঁচবিবির কৃষকরা

বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও করোনা ভাইরাসের প্রভাবে শ্রমিক সংকট ও আর্থিক ক্ষতির আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার কৃষকরা। শ্রমিক সংকট আর প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে সঠিক সময়ে ধান কাটতে না পারলে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন এ এলাকার চাষীরা। তাই ধান পেকে আসার সাথে সাথে দুশ্চিন্তায় দিন যাচ্ছে তাদের।

জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নে চলতি বোরো মৌসুমে এবার ১৯ হাজার ৯শ ২৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিট জাতের চারা রোপণ ১ হাজার ৮শ হেক্টর এবং উফসি জাতের চারা রোপণ ১৮ হাজার ১শ ২৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে হাইব্রিট জাতের ৯হাজার ৪শ ৬৬ মেঃটন চাল এবং উফসি জাতের ৮২ হাজার ১শ ৬ মেঃটন চাল।

উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার পূর্ব অঞ্চলের কিছু কিছু এলাকায় বোরো ধান পাকতে শুরু করেছে।  সেখানে কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে। তবে উপজেলার অধিকাংশ ক্ষেতের ধান না পাকলেও শীষ বের হওয়া শেষে দানা বাঁধতেও শুরু করেছে। আবার কোন কোন ক্ষেতের ধানের শীষ হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে।

কৃষকরা জানান, এ মৌসুমে তেমন কোন রোগ বালাই দেখা না দেওয়ায় বোরো ধান অনেক ভালো হয়েছে। দু এক সপ্তাহের মধ্যেই ধান কাটা মাড়াই শুরু হবে পুরোদমে। কিন্তু দুশ্চিন্তা ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া নিয়ে। প্রতি বছর রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম নীলফামারীসহ অন্যান্য জেলা থেকে ধান কাটার শ্রমিক আসতো। বর্তমান করোনার ভাইরাস প্রভাবের কারণে এবার শ্রমিক আসা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  সবজির রেকর্ড উৎপাদন

উপজেলার বাগজানা ইউনিয়নের আটাপাড়া গ্রামের কৃষক খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ধানের ফলন খুব ভাল হয়েছে। প্রতি বছর ধান কাটা মারাই করতে ডোমার থেকে শ্রমিক আসত। এবার আসবে কিনা বলতে পাচ্ছি না।। তাছাড়া ধানের দাম নিয়েও একটা উৎকন্ঠা রয়েছি’।

উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বহরমপুর গ্রামের কৃষক মাসুদ রানা বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত ধান কেটে ঘরে তুলতে না পারছি ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দুশ্চিন্তা শেষ হবে না’।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফর রহমান জানান, পাঁচবিবি উপজেলায় এমাসের ১৫ তারিখের পর থেকে পুরোদমে বোরো কাটা মাড়াইয়ের কাজ শুরু হবে। এ কারণে  উপজেলায় ইতোমধ্যে সরকার ভূর্তকি মূল্যে ৪টি কম্বাইন হারভেষ্টার দেওয়া হয়েছে, আরো একটি শীঘ্রই দেওয়া হবে। কৃষকরা যাতে সূলভ মূল্যে এবং সহজেই ধান কাটতে পারে।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন