শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দাদনার খাল এখন ময়লার ভাগাড়, বিপাকে কৃষক

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা ঐতিহ্যবাহী দাদনার খালটির পানি ব্যবহার করে কৃষি কাজ করতেন এই অঞ্চলের কৃষকগণ। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দাদনার খালটি ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। নেই কোনো পানির স্রোতধারা ব্যাহত হচ্ছে কৃষি চাষাবাদ। আমন মৌসুমে এই নদীর পানিকে ব্যবহার করে কৃষি কাজ করতেন কৃষকগণ কিন্তু এখন এই খালটি যেন তাদের অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জানা যায়, প্রবাহমান পানি এলাকার কৃষিকাজের সেচের মাধ্যম ছিল দাদনার খাল। এখন ভরাট ও দখল হতে হতে এর প্রায় অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার পথে। এ খালের প্রবাহমান পানি আশেপাশের এলাকার কৃষি জমির সেচের কাজে ব্যবহার হতো। দাগনভূঞা বাজারের ও দাগনভূঞা নামার বাজার আবাসিক এলাকার পতিত আবর্জনায় বন্ধ হয়ে আছে খালটির প্রবাহমান স্রোতধারা। এসব আবর্জনা পচে নষ্ট হয়ে গেছে পানি, ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ ও রোগবালাই। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাজারে দৈনিক ১০/১২ টি গরু জবাই করে সেগুলোর ময়লা খালে ফেলা হয় ও আবর্জনা পঁচে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ, সৃষ্টি হচ্ছে ডেঙ্গু মশার উপদ্রোপ। এতে একদিকে বাড়ছে রোগবালাই, হুমকিতে রয়েছে পরিবেশ।

কৃষক আবু আবদুল্লাহ জানান, আগে আমরা এই খালের পানি ব্যবহার করে আমরা কৃষি কাজ করতাম কিন্তু এখন খালে ময়লা আবর্জনার কারণে পানির স্রোতধারা ও নেই এবং জমির পানি কোথাও যাচ্ছে না বন্ধ হয়ে আছে ¯্রােতধারা। এর কারণে প্রায় হাজার হাজার কৃষকের জমির চাষাবাদ বন্ধ হয়ে রয়েছে। বর্তমানে অতিরিক্ত পানির কারণে জমিতে গজিয়েছে কুচুরিপানা ও বনজঙ্গল। এই সমস্যা থেকে আমরা মুক্তি চায় তারা বলে ও জানান তিনি।

আরও পড়ুনঃ  তেলজাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ

পৌর মেয়র ওমর ফারুক খানঁ জানান, ব্যবসায়ী এবং বাসা বাড়ির লোকদের কে আমরা এই খালে যেন ময়লা আবর্জনা না ফেলে সেজন্য নিষেধ করা হয়েছে এবং তাদের জন্য নির্দিষ্ট ডাস্টবিনের ব্যবস্থা ও করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার পরে তারা এখানে ময়লা আবর্জনা ফেলছে। যারা এই খালে ময়লা আবর্জনা ফেলবে তাদেরকে পৌরসভার পক্ষ থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলে ও জানান তিনি।

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন