শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লোকসানের শঙ্কায় শ্রীনগরে পাট চাষিরা

শ্রীনগর-ছনবাড়ি-এলাকায়-সড়কের-পাশে-প্রান্তিক-কৃষক-রোদে-পাট-শুকানোর-কাজে-ব্যস্ত

শ্রীনগরে কৃষকের উৎপাদিত সোনালী আঁশ হিসেবে পরিচিত পাটের মণ বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকায়। পাটের কাঙ্খিত বাজার মূল্য না পাওয়ায় লোকসানের শঙ্কা করেছেন তারা। এতে পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে স্থানীয় কৃষকরা।

স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর প্রায় ১৮০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। প্রদর্শনী ক্ষেত রয়েছে ১টি। গত বছরের তুলনায় এবার ২০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ কম হয়েছে। গেল বছর এচাষে প্রদর্শনী ছিল ১০টি।

স্থানীয়রা জানান, পানির অভাবে জমিতে কাট পাট জাগ দেওয়া নিয়ে কৃষকরা ভোগান্তির শিকার হন। এতে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে অনেক কৃষক ৬-৭ কিলোমিটার দূরের চকের পানিতে পাট জাগ দেন। এই পরিস্থিতিতে পাটের কাঙ্খিত বাজার মূল্য না পাওয়ার শঙ্কা করছেন ভুক্তভোগী প্রান্তিক কৃষকরা।

তারা বলছেন পাট চাষে লোকসানের মুখে পরেছেন। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার পূর্ব অঞ্চলের আটপাড়া, তন্তর, বীরতারা, পাটাভোগ, কুকুটিয়া, কর্কটপাড়া, বাড়ৈগাঁওসহ বিভিন্ন সড়কের পাশে ও সেতুর রেলিংয়ে পাট শুকানো হচ্ছে।

তবে কোন কোন স্থানে শুকনো পাট বৃষ্টিতে ফের ভিজলেও এসব পাট ঘরে তোলার আগ্রহ দেখা যায়নি কৃষকদের মাঝে। কারণ হিসেবে ভুক্তভোগীরা জানান, পাটের উৎপাদণের খরচের চেয়ে বাজার মূল্য কম হওয়ায় পাটের প্রতি তাদের তেমন কোন আগ্রহ নেই।

উপজেলার নাগরভোগের মো. শুভ বলেন, পাটাভোগের বেজগাঁও প্রায় ৩ একর জমিতে পাট চাষ করি। জমির পাশে হরপাড়া খালে পানি না থাকায় পাট জাগ দিতে ৭ কিলোমিটার দূরে কর্কটপাড়ার চকে নিয়ে পাট জাগ দিতে হয়েছে। এতো খাটা খাটোনী ও অতিরিক্ত খরচ করে পাট চাষে কোন লাভের লক্ষণ দেখছি না। বীরতারার আমির হোসেন বলেন, এলাকায় পাটের কোন পাইকার আসছে না। অর্থের জোগান দিতে কিছুদিন আগে পার্শ্ববর্তী সিরাজদিখান উপজেলার তালতলা বাজারে পাট বিক্রি করি। ভালো মানের প্রতি মণ পাট বিক্রি করা হয় ১৯৫০ টাকা দরে। এই দামে ব্যয় খরচ উঠে আসবে না। ছনবাড়ি এলাকার কৃষক আব্দুল ওহাব বলেন, ২ একর জমিতে ছেই জাতের পাট চাষ করি। পাটের পাইকার নেই। উৎপাদিত পাট বিক্রির টাকায় ব্যয় খরচ উঠবে না।

Print Friendly, PDF & Email
আরও পড়ুনঃ  ভারতে গমের বাম্পার ফলন

সংবাদটি শেয়ার করুন