শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কৃষিতে আধুনিকতার ছোঁয়া

কৃষিতে আধুনিকতার ছোঁয়া

আধুনিক প্রযুক্তির যুগে সব কিছুর পরিবর্তনের সঙ্গে কৃষিতেও পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে। জমি আবাদ, ধান কাটাসহ সব কিছুতেই আধুনিকতার ছোঁয়ায় চলছে কৃষিকাজ। আগে যেখানে শ্রমিক সংকটে সময়মতো ধান কাটা যেতো না। ফসল কাটা নিয়ে কৃষকের দুশ্চিন্তার অন্ত ছিল না।  আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন যেন বদলে গেছে সব কিছু। কম্বাইন হারভেস্টার মেশিনের সাহায্যে স্বল্প টাকায় অতি সহজেই কাটা হচ্ছে জমির ধান। এতে করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।

সারাদেশের ন্যায় কৃষিক্ষেত্রে প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায়। পৌর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপারযন্ত্রের সাহায্যে কম সময় ও স্বল্প খরচে ফসল কেটে গোলায় তুলতে পেরে খুশি কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় কৃষি কাজের জন্য মালিকানায় প্রায় ২ শতাধিক মাড়াইকল রয়েছে। সরকারি কৃষি প্রণোদনার অংশ হিসাবে ৫০ ভাগ সুবিধা দেওয়ায় কৃষকরা ১টি রিপার ও ১৪টি কম্বাইন হারভেস্টার যন্ত্র ক্রয় করেন। তাছাড়া ধান কাটা মৌসুমে অনেকেই পার্শবর্তী জেলা থেকে ভাড়া করে বেশ কয়েকটি কম্বাইন হারভেস্টার ভাড়ায় এনে থাকেন। যেখানে একজন কৃষকের জমি থেকে ধানকাটা, মাড়াইসহ অন্যান্য কাজে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয় সেখানে স্বল্প টাকায় ও শারীরিক পরিশ্রম ছাড়াই ধান কাটার সুযোগ পাওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা খুবই খুশি। কৃষকরা জানায় এক একটি যন্ত্র দিয়ে দৈনিক এক একর জমির ধান কাটা যাচ্ছে। 

পৌর শহরের তারাগন এলাকার কৃষক মো. আল-আমিন বলেন, আগে জমি থেকে ধান কাটতে অনেক শ্রমিক লাগতো। সময় মতো শ্রমিক পাওয়া ও যেতো না। কিন্তু  এখন আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে হারভেস্টার মেশিন দিয়ে  ধান কাটা মাড়াই ঝাড়াইসহ বস্তা করতে খুবই সহজ হচ্ছে। এতে সময় এবং খরচ তাদের অনেক কম লাগছে বলে জানায়। 

আরও পড়ুনঃ  অ্যাপে কেনা হবে আমন ধান

জমির মালিক মো. মুরাদ মিয়া বলেন, চলতি মৌসুমে  ১০ বিঘা জমিতে আমন আবাদ করা হয়। ইতিমধ্যে তার জমির ধান পেকে যাওয়ায় শ্রমিকের অভাবে ধান কাটতে না পাড়ায় খুবই দুশ্চিন্তায় পড়তে হয়। কিন্তু স্থানীয় ভাবে ‘কম্বাইন্ড হারভেস্টার’ মেশিন পাওয়ায় ধান কাটার বড় একটি চিন্তা দুর হয়েছে। তিনি আরো বলেন এই যন্ত্রটি দিয়ে  ১ বিঘা বা (৩০ শতক) জমির ধান কাটতে ২০ মিনিটি সময় লাগে। এক সাথে  জমির  ধান কাটা-মাড়াই -ঝাড়া ও বস্তায় ভরা যায়। এ জন্য বিঘা প্রতি টাকা দিতে হয়েছে ২হাজার  টাকা। কিন্তু শ্রমিক দিয়ে কাটতে ৩ হাজার টাকার উপর লাগছে। এই যন্ত্রটির মাধ্যমে ধান কাটতে পেরে তিনি  খুবই খুশি।

উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা শাহানা বেগম বলেন ‘বর্তমান সরকার কৃষি ও কৃষকবান্ধব। কৃষি ও কৃষকদের সুবিধার্থে ৫০ ভাগ সরকারি প্রণোদনায় রিপার ও  কম্বাইন হারভেস্টার দেওয়া হয়েছে। এতে কৃষকদের সময় ও খরচ দুটোই সাশ্রয় হচ্ছে। তিনি আরো বলেন এ উপজেলায় কৃষি কাজে আধুনিক  যন্ত্রের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন