হবিগঞ্জের হাওরগুলোতে শুরু হয়েছে ধানকাটার মহোৎসব। রোপা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-কৃষাণীরা। গত বছরের তুলনায় জেলায় এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
যে কারণে উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে উৎপাদন। এবার জেলায় ৭৬৪ কোটি টাকার ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এদিকে, এবার আমন ধানের বাম্পার ফলনে খুশি কৃষকরা। পাশাপাশি এবার ধানের দামও বেশি পাবেন বলে আশাবাদি তারা।
জানা যায়, ইতিমধ্যে জেলার মাধবপুর, চুনারুঘাট, নবীগঞ্জ ও লাখাই উপজেলার হাওরে ধানকাটা শুরু হয়েছে। রোপা আমন মৌসুমে এবার জেলার ৯টি উপজেলায় ৮০ হাজার ২শ হেক্টর জমি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৮৮ হাজার ২৫৮ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছেন ধান। আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে পুরোপুরিভাবে ধান তোলার মহাযজ্ঞ শুরু।
হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্র জানায়, রোপা আমন মৌসুমে জেলার ৪টি উপজেলার হাওরে চাষ করা ধানকাটা শুরু হয়েছে। এসব জমিতে ব্রি ধান-৯০, ব্রি ধান-৭৫ ও বিনা-৭ রকমের ধানচাষ করা হয়। সেগুলো এখন কাটা হচ্ছে। জেলার হাওরগুলোতে এসব ধানকাটা শেষ হওয়ার আগেই হাইব্রিড ধান তোলা শুরু হবে। এবার প্রতি হেক্টর জমি থেকে তোলা হবে সোয়া ৩ মেট্রিক টন। এতে জেলায় ২ লাখ ৭৮ হাজার ১২ টন ধান তোলার সম্ভাবনা রয়েছে।
হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আশেক পারভেজ বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার ধানের ভাল ফলন হয়েছে। এতে ধারনা করা হচ্ছে জেলায় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৭৬৪ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার টাকার ধান উৎপাদন হবে। গত বছর সরকার কৃষকদের কাছ থেকে ১ হাজার ৮০ টাকা মণ দরে ধান কিনছে। এবার যেহেতু খরচ কিছুটা বেড়েছে তাই ১ হাজার ১০০ টাকা মণ ধান কেনার সুপারিশ করা হয়েছে।
আনন্দবাজার/শহক