শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভাসমান সবজিচাষে ভাগ্যবদল

ভাসমান সবজিচাষে ভাগ্যবদল

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ঢালজোড়া ইউনিয়নের টালাবহ এলাকায় ভাসমান পদ্ধতিতে সবজিচাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন এক স্কুল শিক্ষক। বর্ষার পানিতে ওই এলাকার নিম্নঅঞ্চলগুলো জলাবদ্ধতা থাকার কারণে প্রায়ই জমি অনাবাদি হয়ে পড়ে থাকতো দিনের পর দিন। এতে জমিগুলো চাষাবাদে অনুপযোগি হয়ে ওঠে। তাই বিশেষ প্রক্রিয়া করে রাসায়নিক ও বিষমুক্ত সবজি চাষ করছেন আব্দুল মালেক মাস্টার নামে স্কুল শিক্ষক। যার কারনে নিম্নঅঞ্চলের মানুষগুলোর মধ্যে দেখা দিয়েছে নতুন করে বারোমাসি সবজি চাষের উজ্জল সম্ভাবনা।

জানা যায়, কালিয়াকৈর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের কিছু গ্রাম এলাকা নিম্নাঞ্চলগুলো বর্ষার পানিতে তলিয়ে থাকে। কৃষকরা ইচ্ছে করলেও ফসল ফলাতে পারতো না। বছরের অর্ধেকটা সময় অনাবাদি জমিগুলো পানির নিচে তলিয়ে ফসলচাষে অনুপযোগি হয়ে থাকতো। জলাবদ্ধ এ জমিগুলোতে কচুরিপানা দিয়ে বিশেষ আকারে বেড তৈরি করে রাসায়নিক ও বিষমুক্ত সবজি চাষাবাদ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার টালাবহ এলাকার স্কুল শিক্ষক আব্দুল মালেক মাস্টার পরীক্ষামূলকভাবে জলাবদ্ধ জমির উপর বিশেষ আকারের বেড তৈরি করে সেখানে লাউ চাষাবাদ শুরু করেন। তার লাউ চাষে সফলতা দেখে অনেকেই এখন জলাবদ্ধ এলাকাগুলোতে লাউ চাষ শুরু করেছে। যেখানে নানা ধরনের সবজিও চাষ করা যায়।

আব্দুল মালেক মাস্টার জানান, পানির মধ্যে বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে মাচা তৈরি করা হয়। পরে কচুরিপানা ফেলা হয়। কচুরিপানা কিছুদিন যাওয়ার পর পচে যায়। সেখানে চারা রোপন করা হয়। বিশেষ আকারে বেড তৈরি করে রাসায়নিক ও বিষমুক্ত সবজি চাষ করা হয়। চারা বড় হলে জাংলা দিলে গাছগুলো ছড়িয়ে পরে সেখানে লাউ বা সবজি উৎপাদন হয়।

আরও পড়ুনঃ  কুড়িগ্রামে শাক-সবজির বাম্পার ফলন

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ভাসমান সবজি চাষে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের দেয়া হচ্ছে নানা পরামর্শ।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন