রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুদিন ফিরেছে সোনালি আঁশে

পাবনার আটঘরিয়ায় সোনালি আঁশ পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলায় সোনালি আঁশ খ্যাত পাটের আবাদ বেড়েছে। এক সময়ের বিশ্বব্যাপি সমাদৃত সোনালি আঁশ পাটের গৌরবময় অতীত হারিয়ে গেলেও নতুন করে আবার পাটের অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। কয়েক বছর ধরে পাটের দাম ভালো পাওয়ায় পাট চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন পাট চাষিরা। এতে ব্যাপক হারে চলতি বছরেও পাট চাষ করেছেন তাঁরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, কৃষকের মাঠে মাঠে চোখ জুড়ানো সবুজের সমারোহ। সবুজ পাতার সঙ্গে দোল খাচ্ছে মাঠের পর মাঠ কৃষকের সোনালি আঁশ পাট। পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় তোশা ও দেশি পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি বছর আটঘরিয়া উপজেলায় ৫ হাজার ১৬ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। পাট পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষিরা। মৌসুমের শুরুতে বিভিন্ন খেতে ভালো ফলন হয়েছে।

একদন্ত ত্রি-মোহন গ্রামের পাটচাষি ইউনুস আলী দুই বিঘা, হিদাকোল গ্রামের হামিদ হোসেন পাঁচ বিঘা, চৌবাড়ি গ্রামের মুকুল হোসেন ছয় বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। এবার পাট ভালো হয়েছে। এরকম থাকলে মোটামুটি ভালো লাভই হবে। ফজলুর রহমান নামের আরেক পাট চাষি বলেন, একদন্ত, লক্ষ্মীপুর, দেবোত্তর, মাজপাড়া, চাঁদভা ইউনিয়ন ও পৌরসভায় বেশিরভাগ এলাকায় পাট চাষ হয়। তবে, যখন চাষের জন্য বীজ বুনি তখন, পানির খুব সংকট থাকে। তার পরও পাটের ভালো ফলন হয়েছে। বর্তমানে জমিতে যে পরিমান পাট হয়েছে আশা করি ফলনও ভালো হবে। তবে একবিঘা জমিতে পাট চাষ করতে খরচ হয় ১৪-১৫ হাজার টাকা। প্রতিবিঘায় পাট উৎপাদন হয় ১২-১৪ মণ। খরচ খরচাবাদে ভালো টাকাই লাভ থাকে।

আরও পড়ুনঃ  বৃহস্পতিবার থেকে ধরা যাবে ইলিশ

মহসিন আলী নামে অন্য এক কৃষক বলেন, বাংলাদেশের জন্য পাট খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অর্থকরী ফসল। তবে, আমরা যারা চাষি, তারা এ পাট চাষ করে তেমন লাভবান হই না। ধার-দেনা ও সুদে টাকা এনে চাষ করি। দাম বৃদ্ধির আগেই দেনা পরিশোধের জন্য পাট বিক্রি করে দিতে হয়। পাট চাষিদের বীজ ও সার কেনার জন্য যদি সরকার কিছু সহযোগিতা করত তাহলে চাষিরা খুবই লাভবান হত বলেন দাবি করেন তিনি।

আটঘরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সজীব আল মারুফ জানান, উপজেলা পাঁচটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বেশির ভাগ এলাকায় পাট চাষ হয়েছে। ৫ হাজার ১৬৫ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছে। আমরা চাষিদের সব ধরনের কারিগরি পরামর্শ ও সহযোগিতা করেছি।

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন