বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় দ্রুত ধানকাটা

ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় দ্রুত ধানকাটা
  • সহযোগিতায় সংবাদকর্মীরা

ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় বোরো ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। ঝড়ের পূর্বাভাসে ৮০ ভাগ পাকা ধান দ্রুত কেটে ঘরে তোলার নির্দেশ পেয়ে কৃষকরা ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। গত শনিবার সকালে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সভাপতিসহ এক ঝাঁক সংবাদকর্মী কৃষক শাকির আহমদের পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে সহযোগিতা করেন।

এসময় কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কংকন মল্লিক, আসিদ্রোন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মসুদ মিয়াসহ অন্যান্যররা উপস্থিত ছিলেন।

শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাব সভাপতি বিশ্বজ্যোতি চৌধুরী বলেন, সংবাদকর্মী শাকির আহমদের পাকা ধান কাটার সহযোগিতার পাশাপাশি আমরা কৃষকদের সচেতন করতে এসেছি যাতে ক্ষেতে পাকা ধান ঘুর্ণিঝড়ের আগেই কেটে ঘরে তুলতে পারেন। অবহেলার কারণে যেন ধানের কোনো ক্ষতি না হয়।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কংকন মল্লিক জানান, উপজেলায় পাকা বোরো ধান কাটা অনেকটা এগিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা থাকায় ৮০ ভাগ পাকা বোরো ধান কেটে ঘরে তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আসিদ্রোন ইউনিয়নের ৫০৩ ব্লকে বোরোর ভালো ফলন হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে এ ব্লকে কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি। ঘুর্ণিঝড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বোরো ধান হাওরে কাটার উপযোগী হওয়ার পরও কাটা হচ্ছে না। দ্রুত ধান কেটে ঘরে তুলতে কৃষকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ১০ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এ উপজেলায় বোরোর ফলন হয়েছে ভালো।

আরও পড়ুনঃ  করোনার ঝুঁকিতেই মাছ ধরছে মেঘনার অর্ধলক্ষাধিক জেলে

সংবাদটি শেয়ার করুন