শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধান-মাছের মিশ্র চাষে লাভ বেশি

ধান-মাছের মিশ্র চাষে লাভ বেশি

কুড়িগ্রামের উলিপুরে একই জমিতে ধান ও মাছ চাষ করে সাফল্যের সম্ভাবনা দেখছেন একজন আদর্শ ও সাফল্য কৃষক। গতকাল শুক্রবার উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের হারুনেফড়া সরকার পাড়া গ্রামে দেখা যায়, একই জমিতে ধান ও মাছের চাষ করেছেন একজন আদর্শ ও সাফল্য কৃষক আশরাফ আলী খন্দকার। জানা যায়, তার বাড়ির সামনে পুকুর সংলগ্ন ৮৬ শতক জমিতে ধানের চারা রোপন করেন। গত বছরের তুলনায় অনেক ভালো ফলন হয়েছে। আবার ওই জমিতে মাছের চাষ করা হয়েছে।

চাষিরা বলেন, আমি প্রতি বছর একই জমিতে ধান ও মাছের চাষ করি। সফলতা অর্জন করি। তবে গত বছরের তুলনায় এবার ধান ও মাছ চাষ দুটোই ভালো হয়েছে। এবার মাছের পোনা কিনতে হয়েছে চড়া দামে। গত বছর আমার এ ৮৫ শতক জমিতে ধান হয়েছে প্রায় ৫০ মণ। উক্ত জমিতে মাছের পোনা দিয়েছিলাম প্রায় ৫ মণ। যার মূল্য ছিলো প্রায় ২১ হাজার টাকা। সেখানে আমার মাছ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে প্রায় ১৮ মণ যার মূল্য পেয়েছি প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। তিনি আরও বলেন, আমাকে যদি উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে মাছের পোনা এবং কৃষি অফিস থেকে ভালো জাতের ধানের বীজ দিত তা হলে আরও অনেক সফলতা পেতাম। তিনি আরও বলেন, আমার জমিতে এবার মাছের পোনা দিয়েছি প্রায় ৬ থেকে ৭ মণ। মাছের পোনার দাম বেশি হওয়ায় জমিতে মাছের পোনা বেশি ছাড়তে পারিনি।

আরও পড়ুনঃ  বিঘায় ফলন ৩০ মণ

এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য অফিসার তারিফুর রহমান সরকার বলেন, একই জমিতে ধান ও মাছ চাষ ভালো হয়। এতে করে কৃষক অনেক লাভবান হন। তবে যে সকল কৃষক একই জমিতে দুটোই চাষ করেন তারা আমাদের উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করলে আমরা বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেই এবং মাছের রোগ বালাই সম্পর্কে অবগত করি। যাতে মাছ অতি তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায়।

এ বিষয়ে উপজেলার কৃষি অফিসের উপ-সহকারি মোস্তফা কামাল বলেন, একই জমিতে ধান ও মাছ চাষ করা ভালো। এতে করে অনেক লাভ হয়। এ ধরনের ধান চাষিদের আমরা বিভিন্ন ধরনের ধানের রোগ বালাই সম্পর্কে অবগত করি। যাতে করে ধানের কোনো ধরনের বালাই না আসে। ফলন ভালো হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন