রবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রেকর্ড উচ্চতায় কয়লার বৈশ্বিক দাম

রেকর্ড উচ্চতায় কয়লার বৈশ্বিক দাম

ইউক্রেনে চলমান অস্থিরতার কারণে সর্বোচ্চ পরিমাণ বেড়েছে কয়লার বৈশ্বিক দাম। পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে রাশিয়ার বৈরিতার কারণে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের আশঙ্কায় এমনটা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন, এ পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় ক্রেতারা জীবাশ্ম জ্বালানি সংগ্রহের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দেবে। খবর রয়টার্স।

চলতি মাসে নিউক্যাসল কয়েল ইনডেক্স বাজার আদর্শ অনুসারে কয়লার দাম এক-তৃতীয়াংশের বেশি বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি টন ২৬২ ডলার। মাসব্যাপী ইন্দোনেশিয়া কর্তৃক কয়লা রফতানি নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ইউক্রেনে যেকোনো ধরনের সামরিক আগ্রাসনের ফলে রাশিয়া থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হতে পারে। রাশিয়া ইউরোপীয় অঞ্চলে মোট প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদার ৩৫ শতাংশ পূরণ করে। এছাডা গত গ্রীষ্ম থেকে গ্যাস সংকটের দরুন স্থানীয় বাজারে জ্বালানি পণ্যটির দাম বছরের শেষ দিকে সর্বোচ্চ পরিমাণ স্পর্শ করেছে।

কোনো ধরনের জ্বালানি সংকট মোকাবেলাসহ নানাবিধ দুশ্চিন্তার মধ্যেই তাদের কয়লা আমদানির পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে ইউরোপীয় ক্রেতারা। এদিকে ইন্দোনেশিয়ার কয়লা আমদানি নিষেধাজ্ঞা থেকে এখনই উত্তরণের কোনো দৃশ্য দেখা যাচ্ছে না আন্তর্জাতিক বাজারে। তাই চাহিদার শীর্ষে থাকা শীতকালে পর্যাপ্ত কয়লার সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ভারতীয় কয়লা বাজার কয়লাশাস্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা পুনিত গুপ্তা জানান, সামনের দিনগুলোয় স্পট কার্গো অনেকটা দুর্লভ হয়ে উঠছে। বিশেষ করে ইউরোপীয় অঞ্চলে ইন্দোনেশিয়ার রফতানি নিষেধাজ্ঞা এবং গ্যাসের দামের কারণে কয়লার দামও বাড়তে শুরু করেছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাপক হারে কমতে শুরু করেছে ইউরোপে কয়লার ব্যবহার। ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে কয়লার বৈশ্বিক ব্যবহারে ইউরোপীয় ভোক্তাদের দখল ছিল মাত্র ৬ দশমিক ২ শতাংশ। কিন্তু গত বছরের মাঝামাঝি থেকে অঞ্চলটির ক্রেতারা ব্যাপক হারে কয়লার মজুদ বাড়িয়ে চলছে।

আরও পড়ুনঃ  যুক্তরাষ্ট্রে এবার গির্জার বাইরে বন্দুক হামলা, নিহত ৩

সিঙ্গাপুরভিত্তিক পণ্যের তথ্য ও বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান কেপলার জানিয়েছে, জানুয়ারিতে ইউরোপের তাপ কয়লার আমদানির পরিমাণ দাঁড়াবে মোট ৫৫ লাখ ৮০ হাজার টন। যা ২০১৯ সালের নভেম্বরের পর সর্বোচ্চ মাসিক পরিমাণ। একই সাথে ২০২১ সালের মাসিক গড় পরিমাণের তুলনায় ১০ লাখ টন বেশি।

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন