- চাহিদা বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রে
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা। বর্তমানে জ্বালানি তেলের চাহিদা রেকর্ড উচ্চতায় অবস্থান করছে। বাজারজুড়ে চলছে সরবরাহ বাড়ানোর তোড়জোড়। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই গত সপ্তাহে দেশটিতে মজুদ বেড়েছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল এবং গ্যাসোলিনের। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি সরবরাহ সংকটের উদ্বেগকে কিছুটা প্রশমিত করতে পারে। সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইআইএ)।
তথ্য অনুযায়ী, ২১ জানুয়ারি শেষ হওয়া সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ ২৪ লাখ ব্যারেল করে বেড়েছে। ৪১ কোটি ৬২ লাখ ব্যারেল দাঁড়িয়েছে মজুদের পরিমাণ। তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের জরিপ অনুযায়ী, মজুদ ৭ লাখ ২৮ হাজার ব্যারেল কমার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল।
গত সপ্তাহে ইআইএ গ্যাসোলিনের মজুদ ১৩ লাখ ব্যারেল বেড়েছে। ২৪ কোটি ৭৯ লাখ ব্যারেল দাঁড়িয়েছে মজুদের পরিমাণ। পণ্যটির মজুদ ২৫ লাখ ব্যারেল বাড়বে বলে প্রত্যাশা ছিল বিশেষজ্ঞদের। শীত মৌসুমেই স্বভাবত গ্যাসোলিনের মজুদ বাড়ে। গত সপ্তাহে চাহিদা বিবেচনায় সব ধরনের জ্বালানি পণ্য সরবরাহ বেড়েছে। ২ কোটি ১২ লাখ ব্যারেলে দাঁড়িয়েছে গড় সরবরাহের পরিমাণ। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সরবরাহের গতি মহামারীপূর্ব অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে মজুদ বাড়লেও আন্তর্জাতিক বাজারে সরবরাহ সংকটের উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। সেজন্য প্রায় সাত বছর পর নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। এর আগে ২০১৪ সালের অক্টোবরের পর গত বুধবার অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম প্রথমবারের মতো প্রতি ব্যারেল ৯০ ডলার ছাড়ায়।
বিশ্লেষকরা জানান, ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার সাথে পশ্চিমাদের চলমান উত্তেজনা প্রকট হচ্ছে। তাই বিশ্ববাজারে জ্বালানি পণ্যটির সরবরাহ বিঘ্নের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সেজন্যই ফের অস্থিতিশীলতার মুখে পড়েছে জ্বালানি পণ্যের বাজার।
আনন্দবাজার/টি এস পি