দিনের দুই সেশন বাকি এবং মধ্যাঞ্চলের প্রয়োজন মাত্র ৫৮ রান। হাতে আছে নয় উইকেট। পিচে থাকা দুই ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার এবং মোহাম্মদ মিঠুন ততোক্ষণে অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন। এই দুই ব্যাটসম্যানের জুটিতে স্কোরবোর্ডে পেরিয়েছে একশো। জয় প্রায় নিশ্চিত মধ্যাঞ্চলের। তবে নাটকীয়তার শুরুটা হয়েছে এখান থেকেই। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে হেরেছে ১০ রানে মধ্যাঞ্চল। জয় তুলে নিতে পারেনি তারা।
মধ্যাঞ্চলের জয় যখন সময়ের ব্যাপার মাত্র ঠিক তখনই পূর্বাঞ্চলের ত্রানকর্তা হয়ে হাজির হন অফ স্পিনার নাঈম হাসান। দ্বিতীয় সেশনে ১৯ রানের মধ্যেই ৬ উইকেট হারিয়েছে র মধ্যাঞ্চল। যার মধ্যে পাঁচটিই নিজের করে নিয়েছেন নাঈম। ১ উইকেটে ১৪১ রানে ড্রিংকস বিরতিতে যাওয়া দলটাই অবিশ্বাস্যভাবে লাঞ্চে গেলো ১৭২ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে। তবে মধ্যাঞ্চলের শেষ ভরসা হয়ে ১৬* রানে পিচে অপরাজিত আছেন সালমান হোসেন ইমন। প্রয়োজন মাত্র ২৭ রান। বিপরীতে পূর্বাঞ্চলের দরকার ২ উইকেট।
লাঞ্চের পর দলের প্রয়োজন যখন ১১ রান, তখন পয়েন্টে ইরফান শুক্কুরের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সালমান। বোলার হিসেবে ছিলেন নাঈম। এবং পরে মধ্যাঞ্চলের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেন তানভীর। এলবিডব্লিউ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন রবিউল। সেইসাথে ১০ রানের জয় পায় পূর্বাঞ্চল।
আনন্দবাজার/ টি এস পি