শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তেলের দাম বাড়ায় দিশেহারা কৃষক

তেলের দাম বাড়ায় দিশেহারা কৃষক

গাইবান্ধার মাঠে মাঠে এখন চলছে শীতকালীন সবজিসহ বিভিন্ন রবিশস্য চাষ। ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে কৃষকরা। জমি প্রস্তুত করে বসে থাকলেও ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় সেচ দিতে পাচ্ছে না প্রান্তিক কৃষকরা। তাদের দাবি দ্রæত তেলের দাম কমিয়ে কৃষকদের পাশে দাঁড়াবে সরকার। কৃষির উন্নয়ন এবং কৃষকের স্বার্থে ডিজেলের মূল্য কমিয়ে দেবে এমন প্রত্যাশা কৃষকদের।

তবে কৃষিবিভাগ বলছে, কৃষকরা এখন আর আগের মত তেল নির্ভর সেচ পাম্প ব্যবহার করে না। বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প ব্যবহার করে। এ মূল্য বৃদ্ধিতে আপাতত খুব বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হবে না।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলার ৭ উপজেলার মাঠ জুড়ে চলছে রবি শ্যস্যের চাষ। সরিষা, গম, ভুট্টা, আলু, পেঁয়াজের জমি প্রস্তুত নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেছন কৃষকরা। অনেকেই জমি প্রস্তুত করে বসে আছে সেচ দেওয়ার জন্য। কিন্তু হঠাৎ তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় জমি প্রস্তুত করার পরেও সেচের অভাবে জমিতে বীজ রোপন করতে পারছে না। ইতোমধ্যে যারা আলু, ভুট্টা, বাদাম, সরিষাসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ করেছেন। প্রয়োজন সত্তে¡ও তারাও জমিতে সেচ দিতে পারছেনা। তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় জেলার প্রান্তিক কৃষকরা চাষাবাদে হিমসিম খাবে। এছাড়াও বোরো ধান রোপনেও কৃষকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশংকা করছেন। গত বছর আলু চাষ করে অনেকেই খরচ তুলতে পারেনি। এবার তেলের দাম বৃদ্ধিতে খরচ বেড়ে যাওয়ায় চাষীরা নতুন করে সমস্যায় পড়েছেন।

গাইবান্ধার সদর উপজেলার বালুয়া বাজারে কৃষক মমতাজ আলী বলেন, দেশের উন্নয়নে সরকার বিভিন্ন কাজ করলেও হঠাৎ তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষি ও কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। আগে ভাগে জমি প্রস্তুত করে রাখলেও পানির অভাবে বীজ লাগাতে পারছিনা। এতে আমাদের অনেক সমস্যায় পড়ে হবে। কৃষির উন্নয়নে ডিজেলের দাম কমানোর দাবী জানান তিনি।

আরও পড়ুনঃ  লীলা নাগের ঋণ শোধ

সদর উপজেলার মালিবাড়ী ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল হামিদ বলেন, প্রতিবছর বন্যায় ধান, পাট, কলা, মরিচসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতেই আমরা বিপাকে রয়েছি। তবে তেলের দাম বৃদ্ধি মরার উপর খাঁড়ার ঘা।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো. বেলাল উদ্দিন বলেন, মাঠে রবিশস্য চাষে ব্যস্ত সময় পার করেছেন কৃষকরা। কৃষকরা এখন আর আগের মত তেল নির্ভর সেচ পাম্প ব্যবহার করে না। বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প ব্যবহার করে। তাই এ মূল্য বৃদ্ধিতে আপাতত খুব বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হবে না।

আনন্দবাজার/এম.আর

সংবাদটি শেয়ার করুন