শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিথ্যা তথ্যে রাজস্ব ফাঁকি

  • পার পেয়ে যাচ্ছেন সম্পদশালীরা
  • রিটার্নে ‘স্ট্যাটাস’ কমাচ্ছেন কোটিপতিরা
  • অনলাইনে তথ্য ব্যবহারে সুযোগ দিতে হবে
এনবিআর করনীতি শাখার সদস্য আলমগীর হোসেন আনন্দবাজারকে বলেন, রাজস্ব ফাঁকিবাজদের চিহ্নিত করতে এনবিআর রিটার্নের তথ্য খতিয়ে দেখছে। যে সব রিটার্নের তথ্যে বড় ধরনের গরমিল পাওয়া যাচ্ছে তা তদন্ত করা হচ্ছে।

ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান ২০০০ সালে ৫০ লাখ টাকার একটি অকৃষি জমি কেনেন। সরকারের নির্ধারিত মৌজার দর অনুযায়ী তিনি হিসাব কষে ঐ করবর্ষে আয়কর রিটার্নে এ জমির দাম উল্লেখ করেন ২৩ লাখ টাকা। গেল ৮ বছরে এ জমির দাম বেড়ে দুই কোটি ৩৪ লাখ টাকা হয়েছে। অথচ আগের মতোই এবারেও হাফিজুর রহমান সম্পদের বিবরণীতে ঐ জমির মূল্য ২৩ লাখ টাকাই উল্লেখ করেছেন।

সম্প্রতি হাফিজুর রহমান এ জমির বাজার দর চার কোটি টাকা দেখিয়ে ব্যাংকে বন্ধক রেখে এক কোটি ২৫ লাখ টাকার ঋণ নিয়েছেন। এই অর্থ তার ব্যাংক হিসাবে জমা হওয়ায় কোটিপতি ব্যাংক হিসাবধারীর তালিকায় হাফিজুর রহানের নাম উঠেছে। অথচ আয়কর রিটার্নে জমির মূল্য ২৩ লাখ টাকা দেখানোয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) হিসেবে তিনি কোটিপতি নন।

ই-পেপার পড়তেই-আনন্দবাজার

অন্যদিকে, মুস্তফা জামাল রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এক কোটি ৩৪ লাখ টাকার একটি বিলাসবহুল গাড়ি ৪৫ লাখ টাকায় এনে ভূয়া কাগজপত্র বানিয়ে চালিয়ে বেড়াছেন। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) থেকে নিবন্ধন না নেয়ায় গাড়িটির কোনো তথ্য প্রতিষ্ঠানটির কাছে নেই। মুস্তফা জামাল গাড়িটির কথা রিটার্নে উল্লেখই করেননি।

এভাবে মিথ্যা তথ্যে এবং আইনের ফাঁক গলে হাফিজুর রহমান ও মুস্তফা জামাল প্রকৃতপক্ষে কোটিপতি হলেও রিটার্নে কোটিপতি নয়। এনবিআর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অসাধু ব্যক্তিরা মিথ্যা তথ্য দিয়ে এবং আইনি ফাঁকে রিটার্নে বাজার দর অনুযায়ী (প্রপার্টি ইভেলুয়েশন) সম্পদের প্রকৃত মূল্য দেখায় না। এতে সম্পদশালীদের প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ কত তা জানা যাচ্ছে না। এতে সরকারের পাওনা করও আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না।

একই মত জানিয়ে অর্থনীতি বিশ্লেষকরা সম্পদশালীদের চিহ্নিত করতে সরকারি বা বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অনলাইনে তথ্য আদান প্রদান করা এবং নজরদারি বাড়ানোর সুপারিশ করেন। এনবিআরের সাবেক সদস্য কালিপদ হালদার আনন্দবাজারকে বলেন, বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী রিটার্নে সম্পদের মূল্য (প্রপার্টি ইভেলুয়েশন) উল্লেখ করা হয় না। এ সুযোগ নিয়ে অনেকে রিটার্নে সম্পদের প্রকৃত তথ্য না দিয়ে কর ফাঁকি দিচ্ছে। এছাড়া কিছু অসাধু মিথ্যা তথ্য দিয়েও রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে।

এনবিআর করনীতি শাখার সদস্য আলমগীর হোসেন আনন্দবাজারকে বলেন, রাজস্ব ফাঁকিবাজদের চিহ্নিত করতে এনবিআর রিটার্নের তথ্য খতিয়ে দেখছে। যে সব রিটার্নের তথ্যে বড় ধরনের গরমিল পাওয়া যাচ্ছে তা তদন্ত করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  সমুদ্র বাণিজ্যে মাইলফলক

চলতি করবর্ষে নিয়মিত রিটার্ন জমার শেষ সময় আজ ৩০ নভেম্বর। ১৬ কোটি মানুষের এদেশে ইটিআইএনধারীর সংখ্যা প্রায় ৬০ লাখ। সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এদেশে ৫ কোটি কর দাতা আছে বলে হিসেব কষে এক অনুষ্ঠান বলেছিলেন। গতকাল সোমবার পর্যন্ত ২০ লাখে বেশি রিটার্ন জমা হয়েছে। যুক্তি সংগত কারণ দেখিয়ে এনবিআরের অনুমতি নিয়ে দুই শতাংশ হারে জরিমানা দিয়ে অর্থ বছরের শেষ সময় পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন দাখিলের সুযোগ রয়েছে।

এনবিআরের হিসেবে দুই কোটি টাকা ও তার বেশি সম্পদশালীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল ঢাকায় এবং সবচেয়ে কম রংপুরে। ঢাকার পরে চট্রগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, কুমিল্লা এবং ময়মনসিংহ। গত করবর্ষের মতো এবারেও দুই কোটি টাকা ও তার বেশি সম্পদশালীদের মধ্যে আবাসনখাতের ব্যবসায়ীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এরপর তৈরি পোশাকখাতের ব্যবসায়ীরা রয়েছেন। রাজধানীতে দুই কোটি টাকা ও তার বেশি সম্পদের মালিকরা সবচেয়ে বেশি ধানমন্ডি, জিগাতলা, কলাবাগান, পান্থপথে।

এনবিআর সূত্র জানায়, গত কয়েক কর বর্ষে দুই কোটি টাকা ও তার বেশি সম্পদধারীর গড় সংখ্যা প্রায় একই হলেও এবারে তা বেড়েছে। ২০১১ সালের সম্পদ বিবরণী অনুযায়ী দুই কোটি টাকা ও তার বেশি সম্পদ আছে এমন করদাতার সংখ্যা ছিল চার হাজার ৩০৩ জন। এ হিসাব ২০১২ সালে চার হাজার ৮৬৫ জন, ২০১৩ সালে পাঁচ হাজার ১৪৫ জন এবং ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ হাজার ৩২৯ জন এবং ২০১৫ সালের ২ নভেম্বর পর্যন্ত ছয় হাজার ৭৬১ জন।

গত করবর্ষে দুই কোটি টাকা ও তার বেশি সম্পদের মালিক চট্টগ্রামে এক হাজার ৭৪৮ জন, খুলনায় ৩০৬ জন, রাজশাহীতে ৯০ জন, বরিশালে ৮৬ জন, সিলেটে ২৩৪ জন, কুমিল্লায় ২৫৫ জন, ময়মনসিংহে ৭০ জন, রংপুরে ৬৭ জন। বাকীরা রাজধানীতে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) বা আবাসানখাতের সংগঠন রিহাব থেকে পাওয়া সম্পদশালীদের হিসাব থেকে অনেক কম এনবিআরের এ হিসাব।

দেশের ব্যাংকগুলোতে এক বছরের ব্যবধানে কোটি টাকার বেশি আমানত জমা রাখা ব্যাংক হিসাব বেড়েছে ৪ হাজার ৫১২টি। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ব্যাংকগুলোতে কোটি টাকার ওপরে আমানত জমা রয়েছে এমন ব্যাংক হিসাব ৭০ হাজার ৪৬৩টি। আর আগে বছরে এ ধরনের হিসাব সংখ্যা ছিল ৬৫ হাজার ৯৫১টি।

পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা যায়, ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকার ওপরে আমানত রাখা ব্যাংক হিসাব ছিলো ৯৪১টি। ২০১৭ সালের একই সময়ে এ ধরনের ব্যাংক হিসাব সংখ্যা ছিল ৭৮৪টি। এছাড়া ৪০ কোটি টাকা থেকে ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত আমানত রাখা ব্যাংক হিসাব সংখ্যা ৩৬০টি, ৩৫ কোটি টাকা থেকে ৪০ কোটি টাকা পর্যন্ত আমানত জমা থাকা ব্যাংক হিসাব ছিলো ২০৬টি।

আরও পড়ুনঃ  পুঁজি সংকট, স্বপ্ন ভেঙ্গে যাচ্ছে তরুণ উদ্যোক্তাদের

৩০ কোটি টাকা থেকে ৩৫ কোটি টাকা পর্যন্ত আমানত রাখা ব্যাংক হিসাব ছিলো ২৮৪টি। ২৫ কোটি টাকার বেশি আমানত রাখা ব্যাংক হিসাব ৫১০টি। ২০ কোটি টাকার বেশি আমানত রাখা ব্যাংক হিসাব ৮২০টি। ১৫ কোটি টাকার বেশি আমানত রাখা ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা ১ হাজার ৩১৯টি। ১০ কোটি টাকার বেশি আমানত রাখা ব্যাংক হিসাব ২ হাজার ৯২৬টি এবং পাঁচ কোটি টাকার বেশি আমানত রাখা ব্যাংক হিসাব ৮ হাজার ১২৭টি।

পরিসংখ্যানের তথ্য অনুযায়ী, এক কোটি টাকা আমানত রাখা ব্যাংক হিসাব সংখ্যা ছিলো ৫৪ হাজার ৯৭০টি। ২০১৭ সালের মার্চ পর্যন্ত এ সংখ্যা ছিল ৫২ হাজার ৮৭টি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত ব্যাংক খাতে মোট আমানতের পরিমাণ ছিলো ৯ লাখ ৯২ হাজার ১৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪ লাখ কোটি টাকারও বেশি পরিমাণ আমানত ছিলো কোটিপতি ব্যাংক হিসাবগুলোতে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১৯৭২ সালে দেশে কোটিপতি ব্যাংক হিসাব ছিলো মাত্র ৫টি। ১৯৭৫ সালের ডিসেম্বরে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৭টিতে। জিয়াউর রহমান সরকারের আমলে (ডিসেম্বর ১৯৮০) এ সংখ্যা দাঁড়ায় ৯৮টিতে। এরশাদ সরকারের পতনের সময় ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরে কোটিপতির সংখ্যা ছিল ৯৪৩টি। ১৯৯৬ সালের জুনে কোটিপতি ব্যাংক হিসাব বেড়ে হয় দুই হাজার ৫৯৪টি।

২০০১ সালের সেপ্টেম্বর শেষে এ সংখ্যা দাঁড়ায় পাঁচ হাজার ১৬২টিতে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে কোটিপতি ব্যাংক হিসাব সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮ হাজার ৮৮৭টিতে। ২০০৮ সালে হয় ১৯ হাজার ১৬৩টি। ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে বেড়ে দাঁড়ায় ২৩ হাজার ১৩০টিতে। ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বরে কোটিপতি হিসাব সংখ্যা হয় ২৯ হাজার ৫৩৭টি।

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) তথ্য অনুযায়ী দেশে মার্সিডিজবেঞ্জ, বিএমডাব্লিউ, লেক্সাসের মতো বিলাসবহুল গাড়ি আছে ৫১ হাজারের বেশি। এর মধ্যে মার্সিডিসবেঞ্জ গাড়িই আছে প্রায় ২৭ হাজার। বাংলাদেশ রিকন্ডিশনড ভেহিক্যালস ইমপোর্টাস এন্ড ডিলারস্ অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা) তথ্যানুসারে, আমদানি শূল্কসহ এসব গাড়ির বাজার দর এক/ দেড় কোটি টাকা থেকে আট দশ কোটি টাকা বা তারও বেশি।

বারভিডার সাবেক সভাপতি হাবিবুল্লাহ আনন্দবাজাকে বলেন, অবৈধভাবে বিলাসবহুল গাড়ি কিনে অনেকেই ব্যবহার করছেন অথচ শূল্ককর হিসাবে একটি অর্থও সরকারি কোষাগারে জমা দিচ্ছে না। রিটার্নেও উল্লেখ করছে না। বৈধভাবে বিলাসবহুল গাড়ি কিনে একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি ব্যবহার করেও তার তথ্য আয়কর রিটার্নে উল্লেখ করছে না। উন্নত দেশের মতো এনবিআর কর্মকর্তাদের অনলাইনে বিআরটিএর এর তথ্য ব্যবহারের সুযোগ দিতে হবে। এতে তথ্য গোপনের সুযোগ থাকবে না।

অন্যদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর আভিজাত্য এলাকা বলে পরিচিত গুলশান, বনানী, বারিধারা, ধানমন্ডি, উত্তরা, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, সেগুনবাগিচাসহ বিভিন্ন এলাকাতে অধিকাংশ ফ্ল্যাট প্রতি বর্গফুট বিক্রি হয় ১০ হাজার টাকা থেকে ২০/২২ হাজার টাকায়। আভিজাত্য এলাকার বাইরে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ফার্মগেটসহ অন্যান্য এলাকায় অধিকাংশ ফ্ল্যাটের প্রতি বর্গফুট বিক্রি হচ্ছে পাঁচ/ছয় হাজার টাকা থেকে আট দশ হাজার টাকায়। এ হিসাবে মাঝারি আকারের অর্থাৎ ১৫শ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাটের বাজার মূল্য আভিজাত্য এলাকাতে আসে এক/ দেড় কোটি টাকা থেকে আড়াই তিন কোটি বা বেশি।

আরও পড়ুনঃ  করোনা ভাইরাসে ৯১০ জনের মৃত্যু

আবাসনখাতের সংগঠন রিহাবের তথ্যানুসারে বেসরকারিখাতের তৈরি প্রায় দেড় লাখ থেকে দুই লাখ ফ্ল্যাট বিক্রি হয়েছে। যার অধিকাংশই রাজধানী ও চট্রগ্রামের আভিজাত্য এলাকায়। ২০১৩ সালে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বাড়ির মালিকদের ওপর এনবিআরের পরিচালিত জরিপের তথ্যানুসারে, এ দুই শহরে এক লাখ চার হাজার বাড়ির মালিক কর দেন না।

বাড়ি বা ফ্ল্যাটের বাজার মূল্য প্রতি দিনই বাড়ছে। অতীতে কম দামে কিনে অনেকে রাজস্ব ফাঁকি দিতে আয়কর রিটার্নে বর্তমান বাজার দর না দেখিয়ে আগের দর দেখিয়ে থাকে। হালনাগাদ তথ্য না দিয়েই পার পেয়ে যাচ্ছে সম্পদশালীরা। এক্ষেত্রে সম্পদশালীদের কাছ থেকে নিয়মিত রাজস্বের বাইরে শুধু বেশি সম্পদ থাকার কারণে মাশুল হিসাবে সারচার্জ আরোপ করা হয়েছে। প্রকৃত তথ্য গোপন করে সারচার্জ পরিশোধেও ধনীরা ফাঁকি দিচ্ছে।

এনবিআর থেকে সম্মদশালীদের কাছ থেকে নিয়মিত করের পরেও বেশি সম্পদ থাকায় সার চার্জ আদায় করা হয়। এখাতে আদায় তুলনামূলক কম। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সারচার্জখাতে এনবিআরের আদায় মাত্র ২৫৪ কোটি টাকা। সাবেক তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম আনন্দবাজারকে বলেন, রাজস্ব ফাঁকিবাজ অসাধু ব্যক্তিরা দিনের পর দিন সরকারকে ঠকাচ্ছে। ব্যাংকে কোটি কোটি টাকার পাহাড় গড়ে তুলছে।

মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম আরো বলেন, আমাদের সমাজে সম্পদের মালিকদের অধিকাংশই প্রভাবশালী। এসব ব্যক্তির অনেকেই আবার রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বিভিন্ন সময়ে এনবিআরের তদন্তে জনপ্রতিনিধিদের রাজস্ব ফাঁকির কথা জানা যায়। এনবিআরের সক্ষমতা বাড়িয়ে রাজস্ব ফাঁকিবাজদের সমাজের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। এসব ব্যক্তি কৌশলে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অর্থপাচারের মতো জঘন্য ঘটনা ঘটাচ্ছে। তবে আশার কথা হল এনবিআর আগের চেয়ে শক্তিশালী হচ্ছে।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন