কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের পাশাপাশি ঈশ্বরের নামে নতুন ফসল উৎসর্গের মধ্যদিয়ে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পুরাতন বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছে আদিবাসী খাসিয়া খাসিয়া সম্প্রদায়। নতুন বছরকে বরণ করতে ২৩ নভেম্বর খাসিয়া সম্প্রদায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। তাদের ভাষায় এ উৎসবের নাম ‘খাসি সেঙ কুটস্নেম’।
ইংরেজি বছরের ২৩ নভেম্বর জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার মাগুরছড়া খেলার মাঠে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। করোনার তান্ডবের জন্য গত দুই বছর তা বন্ধ ছিলো। সকালে ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদির মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। বিকেলে মূল পর্ব শুরু হয় মাগুরছড়ার ঐতিহ্যবাহী ফুটবল মাঠে।
অনুষ্ঠানে সিলেট বিভাগের প্রায় সকল খাসিয়া পুঞ্জির অধিবাসীরা অনন্দে মেতে উঠেন। উৎসব প্রাঙ্গণের একপ্রান্তে বাঁশের খুঁটির উপর প্রাকৃতিক পরিবেশে নারিকেল গাছের পাতার ছাউনি দিয়ে সভা মঞ্চ তৈরি করা হয়। উৎসবকে ঘিরে মেলার প্রতিটি স্টলে ছাউনি দেয়া হয় কলাগাছের পাতা দিয়ে। খাসিয়া সম্প্রদায়ের ছেলে মেয়েরা সাজেন বর্ণিল সাজে।
লাউয়াছড়া খাসিয়া পুঞ্জি প্রধান ফিলাপত্মী জানান, মৌলভীবাজারের খাসিয়ারা মূলত সিনতেং গোত্রভুক্ত জাতি। আমাদের জীবিকার প্রধান উৎস পান, সুপারি ও লেবু চাষ। আমাদের প্রধান খাদ্য ভাত-মাছ। বর্ষপুঞ্জি অনুযায়ী এবছর ১৫৭তম বর্ষকে বিদায় দিয়ে ও ১৫৮তম বর্ষকে তারা বরণ করে নিয়েছেন। তিনি জানান, ব্রিটিশ শাসনামল থেকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে ২৩ নভেম্বর খাসি বর্ষবিদায় ‘খাসি সেঙ কুটস্যাম’ পালন করা হয়।
আনন্দবাজার/এম.আর