শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহী অঞ্চলে ৪২ জন পেলেন সেরা করদাতা সম্মাননা

রাজশাহী অঞ্চলে ৪২ জন পেলেন সেরা করদাতা সম্মাননা

রাজশাহী অঞ্চলে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৮১ হাজার ৯৩৩ জন করদাতার মধ্যে ৪২ জন সেরা করদাতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, নাটোর ও নওগাঁ জেলার করদাতাদের মধ্যে সর্বোচ্চ করদাতা, দীর্ঘ মেয়াদী করদাতা, ৪০ বছরের নিচে তরুণ করদাতা ও সর্বোচ্চ মহিলা করদাতা এ ৪টি ক্যাটাগরিতে সেরা করদাতা নির্বাচিত করা হয়।

বুধবার রাজশাহীতে অবস্থিত কর ভবনের পদ্মা কনফারেন্স হলে রাজশাহী মহানগরী, জেলা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৭ জন করে মোট ২১ জন সেরা করদাতাকে ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। রাজশাহী মহানগরীতে ৩ জন সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। যথাক্রমে- আব্দুল আওয়াল, নাসিমুল গণি খান ও সৈয়দ শাহীন শওকত।

দীর্ঘসময় করপ্রদানকারী করদাতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে তাজকেরাতুল ইসলাম ও বদরুদ দোজা। ৪০ বছরের নিচে তরুণ পুরুষ সর্বোচ্চ করদাতা নির্বাচিত হয়েছেন পাভেল হোসেন এবং সর্বোচ্চ নারী করদাতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন নূরজাহান বেগম।

এদিকে রাজশাহী জেলায় ৩ জন সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। যথাক্রমে- আব্দুস সোবহান, কাজী মাহমুদুল হাসান ও একরামুল হক। দীর্ঘসময় করপ্রদানকারী করদাতার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে আর বিন্দু সাহা ও আতাহার আলী। ৪০ বছরের নিচে তরুণ পুরুষ সর্বোচ্চ করদাতা নির্বাচিত হয়েছেন বেলাল উদ্দিন এবং সর্বোচ্চ নারী করদাতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ইসরাত জাহান।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ৩ জন সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে যথাক্রমে এরফান আলী, সেলিম রেজা ও তরিকুল ইসলাম। দীর্ঘসময় করপ্রদানকারী করদাতার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে নাইমুল হক ও চন্দ্র সরকার। ৪০ বছরের নিচে তরুণ পুরুষ সর্বোচ্চ করদাতা নির্বাচিত হয়েছেন আখতারুল ইসলাম এবং সর্বোচ্চ নারী করদাতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আয়েশা সিদ্দিকা। একই ভাবে পাবনা, নাটোর ও নওগাঁ জেলার ৭জন করে সেরা করদাতা নির্বাচিত হয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ  শুল্ক ফাঁকি ঠেকাতে শতভাগ ই-পেমেন্ট

সভায় সভাপতিত্ব করেন কর অঞ্চল রাজশাহীর কর কমিশনার শফিকুল ইসলাম আকন্দ। তিনি বলেন, বেশি ট্যাক্স (কর) পেলে একটি রাষ্ট্রের পক্ষে সামাজিক দায়বদ্ধতার পরিধি বৃদ্ধি করা সম্ভব। প্রত্যক্ষ করের ভূমিকা অনেক। এবছর রাজশাহী কর অঞ্জলে কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ১৫০ কোটি টাকা। তবে আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এখনও যারা রিটার্ন দেননি তারা ন্যায্য কর সময় মতো প্রদান করুন। যথাযথ নিয়ম মেনে বা গুরুত্ব না বুঝে অনেকে আয়কর ফরম পুরণ করছেন, জমা দিচ্ছেন। এখন কর দিতে হয়রানি হতে হয় না। করদাতাদের হয়রানি করা হলে অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কর কমিশনার আরও জানান, ২০২০-২১ অর্থ বছরে টিআইএনধারীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৯৯৫ জন। যাদের মধ্যে কর প্রদান করেছেন ৮১ হাজার ৯৩৩ জন। চলতি অর্থবছরে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত ৬২ হাজার জন কর প্রদান করেছেন ১৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কর আপিল অঞ্চল রাজশাহীর কর কমিশনার (আপিল) আহসান হাবিন, রাজশাহীর কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার লুৎফর রহমান, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এ্যন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু, রাজশাহী জোনাল ট্যাক্সেস বার এ্যসোসিয়েশনের সভাপতি ফজলে করিম।

আনন্দবাজার/এম.আর

সংবাদটি শেয়ার করুন