শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে এক বছরে করদাতা বেড়েছে ৮৬ হাজার ৪৬১ জন

রাজশাহীতে এক বছরে করদাতা বেড়েছে ৮৬ হাজার ৪৬১ জন

রাজশাহী কর অঞ্চলে চলতি বছরের অক্টোবর মাস পর্যন্ত টিআইএনধারীর সংখ্যা ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৬৮০ জন। যা গত বছরের তুলনায় ৮৬ হাজার ৮৬১ জন বেশি। গত বছরের এ সময়ে যা ছিল ২ লাখ ৯১ হাজার ২১৯ জন। গত বছরের তুলনায় টিআইএনধারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ২৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ। একই সঙ্গে এ সময়ে আয়কর আদায় বৃদ্ধি পেয়েছে ৬ শতাংশ।

চলতি অর্থ বছরে রাজশাহী অঞ্চলে আয়কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৫০ কোটি ৪ লাখ টাকা। যার মধ্যে চলিত বছর ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্র অর্জন হয়েছে ২৭৬ কোটি ৩৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫১ টাকা। গত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ১০০ কোটি। তবে করোনার কারণে কর মেলাসহ অনেক আয়োজন বন্ধ থাকায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। গতবছর লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আদায় সম্ভব হয়েছে ৯৫০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। তবে, কর আদায়ের ক্ষেত্রে আরো একটি প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে টিআইএনধারীদের মধ্যে কর দিতে অনিহা।

রাজশাহী অঞ্চলের কর কমিশনার শফিকুল ইসলাম আকন্দ বলেছেন, করদাতাদের ৫০ শতাংশ কর (ট্যাক্স) প্রদান করেন না। আমরা চাই যারা টিআইএনধারী আছেন তাদের প্রত্যেকেই রিটার্ন দাখিল করুক এবং তারা করের ন্যায্য টাকাই রাষ্ট্রকে প্রদান করুক। রাষ্ট্র যদি কর না পায় তবে উন্নয়ন সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রীর যে ভিশন আছে তা আমরা সফল করতে পারবো না। রবিবার বিকেলে কর অঞ্চল রাজশাহী অফিসে ‘মাসব্যাপি আয়কর রিটার্ন গ্রহণ ও তথ্যসেবা’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান।

আরও পড়ুনঃ  ভোমরা বন্দরের চার মাসে রাজস্ব কমেছে ৪৪ কোটি টাকা

তিনি বলেন, কর সবাই দিতে চায়, তবে বিভিন্ন ধরণের ভয় কাজ করে। যার ফলে অনেকে কর দিতে আসেন না। এ ভীতি দূর করতে হবে। আর সে জন্য কর অফিসগুলোতে বছরের এ সময়ে মাসব্যাপি উৎসবমুখর পরিবেশে রিটার্ন জমা নেয়া হয়।

নির্বিঘ্নে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে ও মানুষের মধ্যে আয়কর ভীতি কমাতে ১ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত কর অফিস চত্বরে এ সেবা চালু থাকবে। কর অঞ্চল রাজশাহীর অধিনে ৫টি জেলা অফিসও একযোগে এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

কর কমিশনার বলেন, বর্তমানে কর অফিসের পক্ষ থেকে টিআইএনধারীদের সব ধরণের সহযোগীতা করা হয়। এ সেবার মাধ্যমে টিআইএনধারীরা সহজে ট্যাক্স জমা দিতে পারছেন, প্রাপ্তিস্বীকার প্রত্যয়ন পত্র নিতে পারবেন। এমনকি অনলাইনে ট্যাক্স জমা দেয়ার সুযোগও পাবেন।

গত ১ জুলাই থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরের রিটার্ন দাখিল শুরু হয়েছে উল্লেখ করে কর কমিশনার শফিকুল ইসলাম আকন্দ জানান, আয়কর জমা নিতে প্রতিবছর নভেম্বরে মেলার আয়োজন করা হয়। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে জনস্বার্থে বড় পরিসরে সেই আয়োজন সম্ভব হয়নি। তবে আয়করদাতাদের সুবিধার্থে স্বাস্থ্য বিধি মেনে অফিস চত্ত¡রে স্থাপিত একাধিক বুথে আয়কর জমা নেয়া হচ্ছে।

এদিকে রাজশাহী কর অফিসের দেয়া তথ্য মতে, রাজশাহী অঞ্চলে টিআইএনধারীর সংখ্যা ও আয়কর আদায় পূর্বের চাইতে বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে সরকারি সঞ্চয়পত্র ও জমি ক্রয়সহ আর্থিক নথি দাখিলের ক্ষেত্রে টিআইএন নম্বর বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  কমলাপুর কাস্টমস হাউজে ৩৩ শতাংশ রাজস্ব আয় বৃদ্ধি

আনন্দবাজার/এম.আর

সংবাদটি শেয়ার করুন