শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাড়ছে আখের চাষ, দামও ভালো

বাজার দর ভালো পাওয়ায় ময়মনসিংহের ভালুকায় কৃষকরা আখ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। গেল কয়েক বছর ধরে অনেক কৃষকই অর্থকরী ফসল আখ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। উপজেলার মাটি আখ চাষের উপযোগী হওয়ায় বিভিন্ন জাতের আখ চাষে কৃষকরা অনুপ্রানিত হচ্ছেন।

এখানে অমৃত, সুন্দরী, রংবিলাশ, বি এস আর আই ৪১/৪২ জাতের আখের আবাদ বেশি হচ্ছে। রোগ বালাইয়ে তেমন একটা ক্ষতি না হলে প্রতি একর জমিতে উৎপাদিত আখ আড়াই লাখ টাকার বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। একর প্রতি আখ চাষে খরচ হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।

মল্লিক বাড়ি গ্রামের তাজউদ্দিন নামে এক কৃষক জানান ৬ বিঘা জমিতে তিনি আখের চাষ করেছেন। এতে ২ লাখ টাকা খরচ হলেও ৬ লাখ টাকায় তা বিক্রি করছেন বলে জানান।

কৃষক তাজউদ্দিন আরও বলেন, লাভজনক ফসল হলেও আখ চাষে তারা অধিক সাহস করেন না। কারণ হিসেবে তিনি বলছেন, বাণিজ্যিকভাবে চিনিকলগুলো এ জাতের আখ কেনে না। শুধু মুখে চিবিয়ে কিংবা রস করে খাওয়া হয়। চিনিকলগুলোতে কেনা হলে কৃষকরা আঁখ চাষে অনেক লাভবান হবেন। একই ইউনিয়নের কৃষক মাফিজুল বলেন, গেল ৩ বছর ধরে তিনি আখের চাষ করছেন। ২৫ কাঠা জমিতে দেড় লাখ টাকা খরচ হলে ৫ লাখ টাকা বিক্রির আশা করছেন তিনি।

আখ চাষি আব্দুল বাতেন বলেন, আখ চাষ লাভজনক ফসল। যুবসমাজ যদি এ পেশায় আগ্রহী হয় তাহলে বেকারত্ব কমে আসবে। তিনি জানান, প্রতি বছরের মত এবারও আখ চাষ করেছেন তিনি। স্থানীয় পাইকাররা তাদের ক্ষেত থেকে আখ ক্রয় করে নিয়ে যায়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার তেমন একটা রোগ বালাই দেখা দেয়নি। দামও ভালো আছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি লাভের আশা করছেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ  টিসিবির ট্রাকে বাড়ছে ভিড়

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জেসমিন জাহান জানান, আখ চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি অন্য ফসলের চেয়ে লাভজনক হওয়ার স্থানীয় কৃষকরা আখ চাষে অধিক মনোযোগী হচ্চেন। বর্তমানে উপজেলায় ১ হাজার ৬শ‘ ৮০ হেক্টর জমিতে ৯২ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন ফলন আশা করছেন এ কর্মকর্তা।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন