ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আহসানউল্লাহ থেকে ব্যাংকের প্রশ্নফাঁস: ডিবি

সরকারি পাঁচ ব্যাংকের ক্যাশ অফিসার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে গত ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত এ নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ব্যাংকারসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আসার কথা জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।

গ্রেপ্তার পাঁচ জনের মধ্যে চার জন ব্যাংকার ও একজন আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগের টেকনিশিয়ান মোক্তারুজ্জামান রয়েল (২৬), যাকে প্রশ্ন ও উত্তরফাঁসের মূল হোতা বলে বলছেন গোয়েন্দারা।

বুধবার বিকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আক্তার।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হাফিজ আক্তার জানান, কয়েকটি সরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পরীক্ষার্থীদের কাছে ৫-১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন। চক্রটি প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র ফাঁসের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে ৬০ কোটি টাকা।

“প্রশ্ন নিতে যারা টাকা দিয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়, তাদের ‘গোপন বুথে’ নিয়ে প্রশ্নের উত্তর মুখস্ত করানো হয়। এভাবে ৬০-৭০ ভাগ এমসিকিউ এর সঠিক উত্তর দেওয়া সম্ভব হয়েছে।“

বুধবার রাতে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, “আমরা পত্রিকা থেকে জেনেছি আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি থেকে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। আমরা চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানতে চেয়েছি। ১৪ নভেম্বরের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। এরপর সিদ্ধান্ত নিব।”

সংবাদটি শেয়ার করুন