নতুন শিক্ষাবর্ষে সরকারি স্কুলগুলোতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির পরিকল্পনা করছে সরকার। করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা এবং মেধার সুবণ্টন বিবেচনায় গত বছরের মতো এবারও ভর্তি পরীক্ষা বাতিল হতে পারে। সারা দেশের সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত কেন্দ্রীভূত ব্যবস্থায় তা বাস্তবায়ন করা হবে।
স্কুল পর্যায়ে নতুন শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হবার সময় এসে গেছে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি শিক্ষার গুণগত মান বাড়ানোও জরুরি। তাই গতবছরের কৌশলের পুনরাবৃত্তি করছে সরকার। শিক্ষার্থীদের এবারও ভর্তি হতে হবে লটারির মাধ্যমে। ভর্তি সম্পর্কিত নিয়ম-নীতি প্রণয়ন সংশ্লিষ্টরা যে খসড়া তৈরি করেছে তার মধ্যে থাকতে পারে:
১. লটারি ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রিত হবে সম্পূর্ণ অনলাইনে।
২. ভর্তি ফরম পূরণের সময় শিক্ষার্থীরা ৫টি স্কুল পছন্দ করতে পারবে। লটারির মাধ্যমে যে কোন একটি স্কুলে ভর্তির সুযোগ পাবেন তারা। প্রথম পছন্দের স্কুলে আসন পূরণ হয়ে গেলে যথাক্রমে পরবর্তী পছন্দের স্কুলগুলোতে ভর্তি হতে পারবেন।
৩. গতবছর শুধু সরকারি স্কুলে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হলেও এবার বেসরকারি স্কুলগুলোও যুক্ত হচ্ছে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয়ভাবে সরকার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করবে।
এছড়া অন্যান্য নিয়ম থাকছে আগের মতোই। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, ‘এটা ডিজিটালাইজড ও কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত হবে, ফলে একটা সিস্টেমের মধ্যে ডাটাগুলো থাকবে এবং সেই সিস্টেমই ঠিক করবে কোন স্কুলে কারা নির্বাচিত হবেন।’
আনন্দবাজার/এজে