শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হুবলে ৭’শ হেক্টর জমিতে শিম আবাদ, স্বপ্ন বুনছেন চাষিরা

হুবলে ৭'শ হেক্টর জমিতে শিম আবাদ, স্বপ্ন বুনছেন চাষিরা

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার শিম চাষে স্বপ্ন বুনছেন চাষিরা। ছোট ছোট বেগুনি ফুলের থোকায় ভরে উঠেছে সবজি চাষিদের শিমের বাগান। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর বাম্পার ফলন হবে বলে আশাবাদী তারা।

অল্প জমিতে স্বল্প পুঁজি দিয়েই শিম চাষে বেশ লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে আর তাই প্রতি বছর বাড়ছে শিমের চাষ।

বাহুবল কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের ২ হাজার ৪ শ ৭ হেক্টর জমিতে শাক সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। তার মধ্যে ৭০০ হেক্টর জমিতে এখন পর্যন্ত শিম চাষ করা হয়েছে।

বীজ বপনের কিছুদিন পর সার সেচ ও কীটনাশক প্রয়োগের মাধ্যমে পরিচর্যা করে চারা গাছ একটু বড় হলে মাচাং বানিয়ে দিলে মাত্র আড়াই/তিন মাসের মধ্যেই বাজারে তোলার উপযোগী হয়ে ওঠে শিম। শীতকালীন সবজি হিসেবে শিমের কদর থাকায় মুনাফাও পাওয়া যায় ভাল।

লামাতাশি ইউনিয়নের শিবপাশা গ্রামের সবজি চাষি হাজী আবুল হাসিম জানান, চলতি মৌসুমে ৭ হাজার টাকা খরচ করে ১৪ শতাংশ জমিতে শিমের চাষ করেছেন। ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে তার শিম বাগান। মাস খানেকের মধ্যেই শিম বিক্রি শুরু করবেন তিনি। গত বছরও একই জমিতে শিম চাষ করে অর্ধলাখ টাকা আয় করেছিলেন এ চাষি।

আরেক চাষি জামাল উদ্দিন জানান, তিনি চলতি মৌসুমে ১৮/২০ হাজার টাকা খরচ করে ৬৫ শতাংশ জমিতে উচ্চ ফলনশীল শিমের চাষ করেছেন। তিনি আরও জানান, ধান চাষে খরচ বেশি কিন্তু দাম কম থাকায় লাভ কম। তাই অল্প জমিতে বেশি মুনাফা করতে শিম চাষ করি। একটু পরিচর্যা করলে শিম চাষে অধিক মুনাফা করা সম্ভব।

আরও পড়ুনঃ  সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

চাষি আমিনুর রহমান জানান, উঁচু জমিতে ধান চাষ করে তেমন মুনাফা না আসায় গত দুই বছর ধরে সবজি চাষাবাদ করে বেশ মুনাফা পেয়েছেন তিনি। এ বছর ২০ শতাংশ জমিতে শিমের চাষ করেছেন। আগামী সপ্তাহে শিম বিক্রি শুরু করবেন তিনি।

আবহাওয়া আর বাজার অনুকূলে থাকলে লাখ টাকা আয় করার আশা করছেন।

একই বিষয়ে বাহুবল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল আওয়াল বলেন, শিম একটি লাভজনক সবজি। রবি মৌসুমে আমাদের উপজেলায় ৭’শ হেক্টর জমিতে শিম আবাদ হয়েছে। এ বছর ২ শ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন শিম চাষ করে কৃষকরা লাভবান হয়েছেন। আমরা কৃষকদেরকে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন