শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২৫ টাকার কাঁচামরিচ বর্ডার পার হলেই ২০০ টাকা

২৫ টাকার কাঁচামরিচ বর্ডার পার হলেই ২০০ টাকা

দেশে সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যস্থতায় ভারত থেকে কাঁচামরিচের আমদানি শুরু হয়েছে। গত চার দিনে ১৫০ মেট্রিক টন কাঁচামরিচ আমদানি হলেও বাজারে এর কোনও ইতিবাচক প্রভাব ফেলেনি। উল্টো কাঁচামরিচের বাজারকে আরও অস্থির করে রেখেছে। ভারত থেকে আমদানি করা আগাপঁচা কাঁচামরিচ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ভারত থেকে ২৫ টাকা কেজিতে আমদানি করা হচ্ছে কাঁচামরিচ। এসব মরিচের অধিকাংশই আগা পঁচা। কিন্তু আগাপঁচা সেই মরিচই দেশের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। আমদানিকারকরাই সিন্ডিকেট করে দেশি মরিচের দামে আমদানিকৃত মরিচ বিক্রি করছে। অথচ বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে, কাঁচামরিচের দাম কমবে এমন প্রত্যাশায় ভারত থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

দিনাজপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গতকাল শনিবার (১৪ আগস্ট) পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দুই ট্রাকে ভারত থেকে ২৩ হাজার ৫৬২ কেজি কাঁচামরিচ আমদানি করা হয়। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর এই বন্দর দিয়ে মরিচ আমদানি শুরু হয়। বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়েও বৃহস্পতিবার ১২ আগস্ট পর্যন্ত গত চার দিনে ১৫০ মেট্রিক টন কাঁচামরিচ আমদানি করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক আ. জলিল।

কাঁচামরিচের অস্থির বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানি করা হলেও দেশে ঢুকেই বেড়ে যাচ্ছে মরিচের দাম। ২৫ টাকা কেজিতে আমদানি করা কাঁচামরিচ দেশের বাজারে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। জানা গেছে, গত শনিবার ১৪ আগস্ট হিলির হাটবাজারে ১০০-১১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে কাঁচামরিচ। আমদানির পরও দাম না কমায় অসন্তোষ ক্রেতারা।

আরও পড়ুনঃ  লকডাউনে কারখানা চালুর উপায় খুঁজছে গার্মেন্টস মালিকরা

উল্লেখ্য, সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যস্থতায় ভারত থেকে দেশে কাঁচামরিচের আমদানি শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে আমদানিকারকদের অনুকূলে প্রয়োজনীয় আমদানি পারমিট (আইপি) ইস্যু করা হয়েছে। দেশের ভোমরা ও সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে এসব মরিচ আমদানি হচ্ছে।

এদিকে রাজধানীর বাজারগুলোয়য় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাঁচামরিচের দাম সহসাই কমছে না। আমদানি করলেও বাজারে এর কোনও প্রভাব পড়েনি। ফলে দামে কোনও পরবর্তন হয়নি। আমদানির আগেও দেশের বাজারগুলোয় প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকা দরে। এখনও তাই।

কারণ ব্যাখ্যা করে শ্যামবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, ভারত থেকে যে মরিচ বাজারে এসেছে তার আগায় পচন ধরেছে। ফলে এ মরিচের চাহিদা কম। অপরদিকে দাম বেশি। দেশে ভালোমানের কাঁচামরিচ যেখানে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি হতো, সেখানে ভারতীয় আগাপঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন