শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লকডাউন: ঢাকা ছাড়ছে মানুষ

করোনার ভয়াবহতা বাড়ায় কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে সরকার। ২৮ জুন থেকে পরবর্তী সাত দিন সারাদেশে কঠোর লকডাউন জারি থাকবে। শুক্রবার (২৫ জুন) তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার এ তথ্য জানান। ঈদুল ফিতরে সরকারের বিধিনিষেধ জারি থাকা সত্ত্বেও ঈদ করতে রাজধানী ছেড়েছিল মানুষ। সামনে ঈদুল আজহা। এরই মধ্যে সরকারের লকডাউনের ঘোষণা আসায় ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ।

২২ জুন রাজধানীর আশপাশের চার জেলাসহ দেশের সাতটি জেলায় লকডাউন জারি করে সরকার। ওইদিন থেকে বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার পরিবহন। কিন্তু সরকারের বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করেই বাড়ির উদ্দেশে ছুটছে মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর গাবতলীতে বাড়িফেরা মানুষের ভিড় বাড়তে দেখা গেছে।

শনিবার (২৬ জুন) সকালে রাজধানীর গাবতলী ও আমিনবাজার এলাকায় ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসে চড়ে মানুষ ঢাকা ছাড়ছে।

একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন মো. সোহেল। লকডাউনের খবর শুনে স্ত্রী-সন্তানকে গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীতে পাঠাতে গাবতলী এসেছেন তিনি। সোহেল বলেন, প্রাইভেটকার ভাড়া করে স্ত্রী-সন্তানকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিলাম। লকডাউন এক থেকে দুই মাস থাকতে পারে। সবকিছু চিন্তাভাবনা করেই ওদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিলাম। তবে ঢাকার এত কাছে হওয়া সত্ত্বেও ভাড়া বেশি নিয়েছে। আমি পাঁচ হাজার টাকায় গাড়ি ভাড়া করেছি।

সরজমিনে দেখা যায়, সরকারের দেওয়া নির্দেশনা অমান্য করে সাধারণ মানুষ যে যেভাবে পারছে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হচ্ছে। তবে স্বাভাবিক সময়ের মতো গণপরিবহন না চলায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। ঢাকা ছেড়ে যাওয়া এসব মানুষের অধিকাংশই শ্রমজীবী।

আরও পড়ুনঃ  বাগেরহাটের মোল্লাহাটে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাঝে চেক ও বাইসাইকেল বিতরণ

মোটরসাইকেল চালক সিহাব বলেন, সকাল থেকে তিনটা ট্রিপ মেরেছি। তিন ট্রিপে দুই হাজার ৮০০ টাকা ভাড়া পেয়েছি। পাটুরিয়া ঘাটে খুব ভিড়। সব মানুষ বাড়ি চলে যাচ্ছে। আমি গাবতলী থেকে পাটুরিয়া পর্যন্ত এক হাজার টাকা ভাড়া নিচ্ছি।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন