রাজধানী ঢাকার অধিকাংশ মানুষ অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণের ফলে গ্যাস্ট্রিক, স্থূলতা, খাদ্য বিষক্রিয়া এবং উচ্চরক্তচাপসহ নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন । এ তথ্য উঠে এসেছে বেসরকারি সংস্থা অ্যাকশন এইড ও ম্যাকমের এক যৌথ গবেষণায় ।
গতকাল গুলশানে হোটেল সিক্স সিজনে গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করে অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ। তারা জানান, রাজধানীর উত্তরা, গুলশান-বনানী-বারিধারা, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি এবং পুরান ঢাকার দেড় হাজার মানুষের ওপর গবেষণাটি পরিচালিত হয়।
এ গবেষণায় পানি অপচয়ের বিষয়টিও উঠে আসে। জরিপে অংশগ্রহণকারীরা মনে করেন সবচেয়ে বেশি পানি অপচয় হয় গোসল ও কাপড় ধোয়ার ক্ষেত্রে। ৮৮ শতাংশ মানুষ বোতলজাত মিনারেল পানি ব্যবহার করেন।
ম্যাকমের সহকারী ব্যবস্থাপক শারমিন হেলাল জানান, গবেষণা পরিচালনার সময় দেখা যায়, জরিপে ১৫-২৪ বছর বয়সী অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বাইরে খাওয়ার প্রবণতা বেশি ৯১ শতাংশের । দ্রুত পরিবর্তিত খাদ্যাভ্যাস এবং রেস্টুরেন্টের সংখ্যার সাথে পাল্লা দিয়ে ভোক্তাদের বাইরে খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে । তরুণদের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ রেস্টুরেন্টে খেতে যান মাসে দুই-চারবার।
জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের বাংলাদেশ প্রতিনিধি রিচার্ড যার্গান বলেন, বাইরে খাওয়াটা বর্তমান সময়ে বিনোদনের মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। আমরা বাইরে গিয়ে খাবার খাই এবং ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করতে পছন্দ করি। বিশ্বায়নের ফলে আমাদের জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আসছে, বৃদ্ধি পাচ্ছে খাবার অপচয়ের ক্ষেত্র।
অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান একটি লক্ষ্যের উদ্দেশ্য হলো বিক্রয় ও ভোক্তা পর্যায়ে বৈশ্বিক খাদ্য অপচয় মাথাপিছু অর্ধেকে কমিয়ে আনা, ফসল কাটার পরবর্তী ক্ষয়-ক্ষতিসহ উৎপাদন ও সরবরাহ চেইনে খাদ্যদ্রব্যের ক্ষয়-ক্ষতি কমিয়ে আনা।
আনন্দবাজার/ফাহির