ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দাসিয়ারছড়ায় নিম্ন মানের ইট দিয়ে রাস্তা নির্মাণ 

বার বার নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী অপসারণ করার নোটিশ দেওয়ার পরেও তা অপসারণ না করায় কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী। ফলে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নীর্মাণাধীন বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার দেড় কিঃ মিঃ রাস্তার নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে পারছেনা চট্রগ্রামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এলাকার লোকজন কাজের মান ভালো করার জন্য বললে তাদেরকে দেখে নেওয়ার হুমকী প্রদান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি।

স্থানীয়রা জানান, কুড়িগ্রামের ফুলবাডী উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়া বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়নের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দাসিয়ারছড়ার অধিবাসীদের “একগুচ্ছ ফুল”এর সঙ্গে তুলনা করে তাদের জীবন মান উন্নয়নে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড ধারাবাহিক ভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এরই মধ্যে প গড়, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার (বিলুপ্ত ছিটমহল) গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প এর আওতায় ফুলবাড়ী উপজেলার দাসিয়ারছড়ার কালিরহাট বাজার হতে উত্তর ছিট চন্দ্রখানা মজিবরের মোড় হয়ে ভায়া বানিয়াটারী পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তার কাজ চট্রগ্রামের মোহাম্মদ ইউনুছ আলী এন্ড ব্রাদার্স (প্রাঃ) লিঃ, পাচরাইশ এর একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রাস্তাটির কাজ করার জন্য গত বছরের ৮ ডিসেম্বর চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ শুরু করে। রাস্তাটি উন্নয়ন কাজের শুরু থেকে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই কাজ চালিয়ে আসছেন। রাস্তাটির রেইজিং এ নিম্ন মানের ইট, খোয়া ব্যবহার করায় বাধা দেয় স্থানীয়রা। তুমুল বাকবিতন্ডার সৃষ্ঠি হয় সেখানে। পরে তারা রাতের অন্ধকারে নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী রাস্তায় ফেলেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজনের দাপটে অসহায় স্থানীয়রা নির্মাণাধীন রাস্তার অনিয়মের অভিযোগ জানান। ফলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়াসহ উপজেলায় বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্ঠি হয়।

রাস্তার কাজে থাকা শ্রমিক সাহাবুল জানান, ঠিকাদার নিম্ন মানের ইট ও খোয়া আমাদের সরবরাহ করলে আমরা কি করবো! এইসব নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে রাস্তার কাজ চলে না।

স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা দেবেন্দ্রনাথ বর্মণ, রব্বানী, আক্কাস, জহির, আলেফ, মজিবর, রতন জানান, খারাপ ইট, খোয়া দিয়ে রাস্তার কাজ করায় তাদের কাজ বন্ধ করতে বলা হলেও তারা কোন কথাই কানে তোলে নি। এই কাজ আমাদের কোন উপকারে আসবে না। বরং ক’দিন পরেই চলাচলে ভোগান্তি আরও বাড়বে।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি জনৈক আরিফ নামের একজনের সঙ্গে বারবার ফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

ফুলবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী আসিফ ইকবাল রাজিব বলেন, রাস্তার নির্মাণ কাজে নিম্ন মানের সামগ্রীর ব্যবহারের সত্যতা পেয়ে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে লিখিত ভাবেই কাজ বন্ধ রেখে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।

কুড়িগ্রাম নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান জানান, ঠিকাদারকে নিম্নমানের ইট,খোয়া সরিয়ে নিতে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তারপরেও তারা কাজ করলে তাদের বিল দেয়া হবেনা।

আনন্দবাজার/শাহী/জাহাঙ্গীর

সংবাদটি শেয়ার করুন