বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চরফ্যাশনে কিশোর গ্যাংয়ের নির্যাতনের শিকার দুই স্কুল ছাত্র

চরফ্যাশন প্রতিনিধি

ভোলার চরফ্যাশনে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং। মাদকসেবন, ইভটিজিং, চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মারামারি, দেশী অস্ত্র হাতে কাউকে কুপিয়ে জখম করা এদের প্রতিদিনের ঘটনা। এদের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠিত।

চরফ্যাশন বাজার লাগোয়া সরকারি টিবি স্কুল মাঠ এবং আশপাশের অলিগলিতে গেলে দেখা যায় এদের আনাগোনা।
দিনে স্কুল পড়ুয়া মেয়েদের ইভটিজিং করা, রাতে চলে মাদকসেবন আর ছিনতাই ।

এসব কিশোর গ্যাংয়ের নেতা হিসেবে আছেন সাফোয়ান মহাজন নামে এক তরুণ। তার মদদদাতা হিসাবে কাজ করেন বড় ভাই চরফ্যাশন সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সিয়াম মহাজন।

ভাই ছাত্রলীগের নেতা হবার পর থেকে আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সাফোয়ান মহাজন। প্রতিনিয়ত মেয়েদের উত্যক্ত করাই তার প্রধান কাজ। সহপাঠীদের উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করাই যেনো কাল হয়ে দাঁড়াল চরফ্যাশন সরকারি স্কুলের দশম শ্রেণির দুই মেধাবী শিক্ষার্থী মাসফিকুর রহমান মিসাদ এবং তানভীরুল ইসলামের।

গত বৃহস্পতিবার বিকালে বাজার থেকে বাসায় ফিরছিলেন দুই শিক্ষার্থী মিসাদ এবং তানভীর। তারা টিবি স্কুল মাঠের সামনে আসতেই সাফোয়ান ও তার সাথের কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা মিসাদ ও তানভীরকে ডেকে স্কুলের পিছনের রোডে নিয়ে যায়।সেখানে তারা তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মিসাদ এবং তানভীরকে এলোপাতারি কুপিয়ে জখম করে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়।

পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে আশংকাজনক অবস্থায় চরফ্যাশন সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের ডাক্তার তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

আরও পড়ুনঃ  চাঁদপুরে বাল্কহেড-ট্রলারের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৫

ডা. আশরাফুর রহমান জানান, মিসাদের মাথায় এবং ডান হাতে দাঁড়ালো অস্ত্রের অনেকগুলো আঘাত রয়েছে এবং তানভীরের মাথায় একইভাবে আঘাত করা হয়েছে। তাদের দুজনের অবস্থাই আশংকাজনক থাকায় তাদেরকে বরিশালে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনির হোসেন জানান, সাফোয়ান মহাজন চিহ্নিত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। এদেরকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

জানা যায়, চরফ্যাশনে কিশোর গ্যাংয়ের মুল হোতা এনামুল আহসান আসিব নামে একজন ছাত্রলীগ নেতা। তার প্রত্যক্ষ মদদে চরফ্যাশনে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে।

এ ব্যাপারে এনামুল আহসান আসিবের কাছে জানতে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর কলটি কেটে দেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন