ঢাকায় আজ যারা বের হয়েছেন কাজে তারা কোনোভাবেই অনুধাবন করতে পারছেন না লক ডাউন এখনো চলমান রয়েছে। রাস্তায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি। কোনো কোনো সড়কে চিরচেনা যানজট। যানবাহনের চাপ সামাল হিতে হিমশিম খাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ।
সকাল ৯টার দিকে দেখা গেছে, বিজয় সরণি ফ্লাইওভারে তীব্র যানজট। প্রায় আধাঘণ্টা সময় লাগছে অর্ধ কিলোমিটার ফ্লাইওভার পার হতে। তারপর যে গাড়িগুলো সাত রাস্তা যাবে তাদেরকে ঘুরে আসতে হচ্ছে তিব্বত মোড়েও ওপার থেকে। ফলে আবারো পড়তে হচ্ছে জ্যামে। রাজধানীর আরো অনেক রাস্তাতে একই চিত্র দেখা গেছে।
গণপরিবহন ছাড়া প্রায় সব ধরনের যানবাহনই চলতে দেখা গেছে রাজধানীতে। এসব গাড়িতে উপেক্ষিত সামাজিক দূরত্ব। বেশিরভাগ মানুষই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। একই চিত্র রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারেও।
রাজধানীর ভেতরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোয় থাকা চেকপোস্টে তল্লাশির সময় দেখা দিচ্ছে যানজট। কোথাও কোথাও ট্রাফিক সিগনালেও দেখা দিচ্ছে যানজট। আজ থেকে দোকানপাট-শপিংমল খুলে যাওয়ায় গাবতলী, সায়েদাবাদসহ রাজধানীর প্রবেশপথগুলোয় কিছুটা যাত্রীর চাপ রয়েছে। সকাল থেকে অনেকেই ভাড়ায় মাইক্রোবাস ও অন্যান্য ছোট গাড়িতে ঢাকায় ফিরছেন।
এদিকে সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই আজ থেকে সারা দেশে খুলেছে শপিংমল ও দোকানপাট। ব্যবসায়ীরা যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানার আশ্বাস দিলেও, সংশয় প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।
চলমান লকডাউনে সারাদেশে বন্ধ গণপরিবহণ। এর মধ্যেই, রোববার থেকে সারা দেশে দোকানপাটে বেচাবিক্রি চলবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। গত বছর দীর্ঘ লকডাউনের পর মার্কেট খুললেও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি।
ঢাকা নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দেওয়ান আমিনুল ইসলাম দাবি করেন, সরকারি সিদ্ধান্ত মেনেই নেয়া হচ্ছে সব প্রস্তুতি। মাস্ক ছাড়া মার্কেটে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রত্যেক দোকানিকেই নিশ্চিত করতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। তবে বেচাবিক্রির সময় নির্ধারণ করে দেয়ায়, ওই নির্দিষ্ট সময়ে ক্রেতার ভিড় বাড়বে বলে আশঙ্কা তাদের।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান- বিআইডিএস এর তথ্যমতে, ছোট বড় মিলিয়ে সারাদেশে দোকান রয়েছে সাড়ে ৫৩ লাখ। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে গড়ে ৪ জন কর্মী ধরা হলে, দোকান কর্মচারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২ কোটির বেশি।
আনন্দবাজার/শহক