শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৈরী আবহাওয়ায় ঝরে পড়ছে তুলার গুটি

মেহেরপুরে ভালো মূল্য পাওয়ায় বাড়ছে তুলার চাষ। কিন্তু বৈরী আবহাওয়া কারণে চলতি মৌসুমে পুরো জেলাতেই ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অসময়ে বৃষ্টিপাতের কারণে তুলার গুটি পচে ঝরে যাচ্ছে। এতে চলতি মৌসুমে আবাদ বাড়লেও তুলা উৎপাদন কমে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন চাষীরা।

চলতি মৌসুমে বোর্ডের কুষ্টিয়া জোনের আওতাভুক্ত মেহেরপুরের গাংনী, কাজিপুর, বেতবাড়িয়া, ধানখেলা ও বামন্দী ইউনিটে ১ হাজার ৮০৭ হেক্টর জমিতে তুলা চাষ হয়েছে। গত মৌসুমে এসব ইউনিটে ১ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে তুলা চাষ হয়েছিল।

অন্যদিকে চুয়াডাঙ্গা জোনের আওতাভুক্ত মেহেরপুরের সদর, বারাদি, বকুলতলা, মহাজনপুর ও মুজিবনগর ইউনিটে চলতি মৌসুমে ১ হাজার ৭৪০ হেক্টর জমিতে তুলা চাষ হয়েছে, যা গত বছর ছিল ১ হাজার ৫৭৩ হেক্টর। তুলা উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে তথ্যটি জানা গেছে।

চাষীরা জানান, বীজ বোনা থেকে শুরু করে ছয় মাসের মধ্যে তুলা সংগ্রহ করা হয়। অন্য ফসলের চেয়ে তুলায় রোগবালাই কম হয় এবং পরিচর্যা ও সার বাবদ খরচ কম লাগে। তাছাড়া তুলা নগদে বিক্রি করা যায়। গত মৌসুমে বিঘাপ্রতি ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ করে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকার তুলা পাওয়া গিয়েছিল। তবে এবার বৈরী আবহাওয়ার কারণে তুলার প্রত্যাশিত ফলন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

তুলা উন্নয়ন বোর্ডের গাংনী ইউনিট অফিসার মেহেরুল ইসলাম জানান, প্রতি মৌসুমে তুলা গাছে একটি-দুটি গুটি পচা পাওয়া যায়। গাছ বড় হওয়ার কারণে নিচে আলো-বাতাস ও রোদ না পৌঁছায় এ সমস্যা হয়। আমরা চাষীদের পচা গুটি তুলে ফেলে নতুন করে ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দিচ্ছি।

আরও পড়ুনঃ  ন্যায্য দাম পাওয়ায় কার্পাস তুলা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন